নয়াদিল্লি: জিএসটি-র বর্ষপূর্তিতে সরব পি চিদম্বরম। বললেন, জিএসটি হল আরএসএস ট্যাক্স, যা করের বোঝা বাড়িয়েছে, লোকের কাছে একটা খারাপ শব্দ হয়ে উঠেছে। জিএসটির তীব্র নিন্দা করে তিনি  বলেছেন, এটা সত্যিকারের জিএসটি নয়, ভিন্ন কিছু। জিএসটি মানে করের একটাই হার। কিন্তু এই জিএসটি-র একাধিক হার, বলুন এটা আরএসএস ট্যাক্স। এটা অস্বীকার করা যায় না, জিএসটি আর্থিক বৃদ্ধিতে এখনও কোনও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। এর নকশা, কাঠামো, পরিকাঠামোগত চেহারা, হার বা তার সামগ্রিক রূপায়ণ এতই ভুলে ভরা যে বণিক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, রপ্তানিকারী, সাধারণ মানুষের কাছে জিএসটি একটা খারাপ শব্দ হয়ে উঠেছে। একমাত্র কর প্রশাসনের লোকজনই জিএসটিতে খুশি বলে মনে হয়, যারা আমআদমি, গড়পড়তা ব্যবসায়ীকে 'ভয় দেখানোর অস্বাভাবিক ক্ষমতা' অর্জন করেছে। অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা, জিএসটি জনসাধারণের ওপর করের বোঝা বাড়িয়েছে, প্রতিশ্রুতিমতো মোটেই তা কমায়নি।

জিএসটি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল থেকে শুরু করে বিজেপি সরকারের কর সংক্রান্ত প্রতিটি পদক্ষেপই ভ্রান্ত বলে অভিযোগ করেন চিদম্বরম। বলেন, জিএসটির নানা দিক নিয়ে, বিশেষত তার হারের ব্যাপারে সরকার মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শও কানে তোলেনি।

৪ বারের অর্থমন্ত্রী চিদম্বরমের দাবি, কংগ্রেসই জিএসটির প্রধান প্রবক্তা, ২০০৬ সালে ইউপিএ-ই প্রথম জিএসটির প্রস্তাব দিয়েছিল। বলেন, জিএসটি সংশোধনে অনেকেই ব্যস্ত। জিএসটির মূল উদ্যোক্তা হিসাবে কংগ্রেসের আশা, একে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজানোর পুরো দায়িত্ব বিশেষজ্ঞদের হাতে দেওয়া হবে।

পেট্রপণ্যকে জিএসটির আওতায় ঢোকানো সহ তাকে আরও ভাল করে প্রয়োগের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবও দেন চিদম্বরম। বলেন, করের হার ধাপে ধাপে কমিয়ে একটিই হারে নিয়ে আসতে হবে, ছাড় দিতে হবে সেইসব পণ্য, পরিষেবাকে যেগুলি সমাজের ভাল করে। সেই করের হার ১৮ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। এও বলেন, একটি ত্রৈমাসিকে একবারই রিটার্ন জমার নিয়ম হোক। রিফান্ডের প্রক্রিয়া হোক দ্রুত, সহজ।