নয়াদিল্লি: ফের ২৯টি পণ্যের ওপর কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিল জিএসটি কাউন্সিল। একইসঙ্গে, কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৫৪টি শ্রেণির পরিষেবার ক্ষেত্রেও।


বৃহস্পতিবার, ২৫ তম বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বাধীন জিএসটি কাউন্সিল। উপস্থিত ছিলেন সব রাজ্যের প্রতিনিধিরা। সেখানেই এই করের হার কমানোর সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হয়। জেটলি জানান, এই সিদ্ধান্ত আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। জানা গিয়েছে, সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি, বায়ো-ডিজেল ও কেক-প্যাস্ট্রির মত কনফেকশনারির ওপর করের হার কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইভাবে, দরজির কাজ ও থিম পার্কের প্রবেশ সহ কয়েকটি পরিষেবার কর-হারকে আরও সহজ করা হয়েছে। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জেটলি জানান, কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক জ্বালানি, পেট্রোল, ডিজেল, বিমানের জ্বালানি এবং রিয়েল এস্টেটকে জিএসটি-র আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা হবে।


পণ্যের কর কমানো ছাড়াও, এদিনের বৈঠকে জিএসটি রিটার্ন দাখিল করার পদ্ধতির সরলীকরণ নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয় যে, জিএসটিআর-৩বি ফর্মের মাধ্যমে এখন যেমন নথিভুক্ত সংস্থাগুলি রিটার্ন দাখিল করছে, তেমনই করতে থাকবে। এর পাশাপাশি, সরবরাহকারীর চালানেও লেনদেনের পুঙ্খানুপুঙ্খ যাতে দেওয়া থাকে, তার ব্যবস্থাও রাখা হবে। জেটলি জানান, শীঘ্রই এই বিষয়ে রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করা হবে। তাঁর আশা, পরবর্তী বৈঠকে এই ব্যবস্থার প্রক্রিয়াকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।


জেটলি জানান, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তঃরাজ্য পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক, ৫০ হাজার টাকার ঊর্ধ্ব মূল্যের কোনও পণ্য একটি রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলে, সেক্ষেত্রে পরিবহণ সংস্থাকে একটি বৈদ্যুতিন ওয়েবিল (ই-ওয়েবিল) রাখতে হবে। এর ফলে, কর ফাঁকি দেওয়ার সম্ভাবনা কমবে। তিনি জানান, ১৫টি রাজ্য এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না থাকার জন্য গত ১ জুলাই থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।


জেটলির দাবি, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, কর ফাঁকি দেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ, সরকারের কাছে পণ্যের পূর্ণ তথ্য থাকবে। ফলে, যদি সরবরাহকারী বা ক্রেতা কর রিটার্ন না জমা দেয়, তাহলে সব ধরা পড়ে যাবে।