গুয়াহাটি: সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ কর কাঠামোর অন্তর্গত পণ্যের সংখ্যা কমিয়ে আনার ভাবনাচিন্তা করছে জিএসটি কাউন্সিল। গ্রাহকদের সুরাহা দিতে করছাড়ে জোর দেওয়া হবে প্রতিদিনের ব্যবহৃত সামগ্রী, প্লাস্টিকের পণ্য এবং হস্তশিল্পে তৈরি আসবাবের ওপর।


চারমাস আগে জিএসএটি চালু হওয়ার পর থেকে একাধিকবার বৈঠক বসেছে কাউন্সিল। প্রতিবার, গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের সুরাহা দিতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।


তেমনই, শুক্রবার ফের একবার বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বাধীন জিএসটি পরিষদ। একাধিক পণ্যের করছাড় দেওয়ার পাশাপাশি রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে আরও স্বস্তি দেওয়া নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে।


সম্প্রতি, অসমের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সম্মিলিত কমিটি সুপারিশ করে, এসি রেস্তোরাঁর জিএসটির পরিমাণ ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হোক। আগামীকাল, গুয়াহাটিতে কাউন্সিলের ২৩তম বৈঠকে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে জিএসটি কাউন্সিল।


সূত্রের খবর, শ্যাম্পু সহ প্রতিদিন ব্যবহারের বহু পণ্য ২৮ শতাংশের কাঠামো থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হতে পারে। এছাড়া, কাঠের তৈরি আসবাব, ইলেক্ট্রিক সুইচ এবং প্লাস্টিকের পাইপের কর-কাঠামোও নামিয়ে আনা হতে পারে।


ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সুরাহা দিতে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে জিএসটি কাউন্সিল। সম্প্রতি, অর্থমন্ত্রীদের সম্মিলিত কমিটি সুপারিশ করে, কম্পোজিশন স্কিমের আওতায় থাকা ব্যবসায়ীদের কর ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে। বর্তমানে এই হার ২ শতাংশ রয়েছে। মূলত, ১ কোটি টাকার নীচে টার্নওভার থাকা উৎপাদনভিত্তিক ব্যবসা এই স্কিমের আওতায় পড়বে। প্রথমে এর ঊর্ধ্বসীমা ৭৫ লক্ষ থাকলেও, পরে তা বৃদ্ধি করে ১ কোটি করা হয়।


পাশাপাশি, কম্পোজিশন স্কিমের আওতায় থাকা রেস্তোরাঁগুলির ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৫ শতাংশ। অর্থমন্ত্রীদের সম্মিলিত কমিটি সুপারিশ করে, এই হারও কমিয়ে ১ শতাংশ করার।