একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ‘এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব এবং সেটি কার্যকর হওয়ার দিকে যাত্রা
- ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ ১৯৮৬-৮৭ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় কর ব্যবস্থায় ব্যাপক বদল আনার কথা বলেন
- ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রথম জিএসটি-র কথা বলেন। এ বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়
- ২০০৩ সালে কর ব্যবস্থায় সংস্কারের জন্য বিজয় কেলকারের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে বাজপেয়ী সরকার
- ২০০৪ সালে অর্থ মন্ত্রকের তৎকালীন উপদেষ্টা কেলকার জিএসটি চালু করার সুপারিশ করেন
- ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বাজেটে বলেন, ২০১০ সালের ১ এপ্রিলের মধ্যে জিএসটি চালু করা হবে
- ২০০৮ সালে রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে এমপাওয়ারড কমিটি গঠন করা হয়
- ২০০৮ সালের ৩০ এপ্রিল জিএসটি-র নকশা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় এমপাওয়ারড কমিটি
- ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর জিএসটি নিয়ে বিতর্ক চেয়ে আলোচনাপত্র জমা দেয় এমপাওয়ারড কমিটি
- ২০০৯ সালেই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, দাশগুপ্ত কমিটি জিএসটি-র প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছে। ২০১০ সালের মধ্যেই জিএসটি চালু করা হবে
- বিজেপি সেই সময় জিএসটি-র প্রাথমিক খসড়ার বিরোধিতা করে
- ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রক জিএসটি চালু করার উদ্যোগ নেয়
- এরপর প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে জিএসটি
- ২০১১ সালের ২২ মার্চ জিএসটি চালু করার লক্ষ্যে লোকসভায় ১১৫-তম সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পেশ করে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার
- ২০১১ সালের ২৯ মার্চ যশবন্ত সিনহার নেতৃত্বাধীন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জিএসটি বিল
- এরপর অসীম দাশগুপ্ত জিএসটি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর বদলে কমিটির নেতৃত্বে আসেন কেরলের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কে এম মানি
- ২০১২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন
- ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করতে গিয়ে চিদম্বরম বলেন, জিএসটি চালু হওয়ার ফলে রাজ্যগুলির যে ক্ষতি হবে, তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ৯,০০০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হচ্ছে
- ২০১৩ সালের আগস্টে জিএসটি বিলে উন্নতির সুপারিশ করে রিপোর্ট দেয় সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি
- ২০১৩ সালের অক্টোবরে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিএসটি-র বিরোধিতা করে বলেন, এর ফলে প্রতি বছর রাজ্যের ১৪,০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে
- ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর ১২২-তম সংবিধান সংশোধন অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা
- ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি লোকসভায় ১২২-তম সংবিধান সংশোধন বিল পেশ করেন। কংগ্রেস সেই বিলের বিরোধিতা করে
- ২০১৫ সালের ৬ মার্চ লোকসভায় জিএসটি সংবিধান সংশোধন বিল পাশ হয়
- ২০১৫ সালের ১২ মার্চ রাজ্যসভায় জিএসটি সংবিধান সংশোধন বিল পাশ হয়
- ২০১৫ সালের ১৪ মার্চ রাজ্যসভা ও লোকসভার যৌথ কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জিএসটি বিল
- ২০১৫ সালের আগস্টে রাজ্যসভায় বিরোধীদের বাধায় আটকে যায় জিএসটি বিল
- ২০১৬ সালের আগস্টে কংগ্রেস, বিজেপি সংবিধান সংশোধন বিল পাশের বিষয়ে সম্মত হয়
- ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট রাজ্যসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনে পাশ হয়ে যায় সংবিধান সংশোধন বিল
- ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর ১৬টি রাজ্য জিএসটি সমর্থন করে। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় জিএসটি বিলে সম্মতি দেন
- ২০১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিল গঠনে সম্মতি দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
- ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর জিএসটি কাউন্সিল কর কাঠামোর চারটি ধাপ চূড়ান্ত করে
- চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি জেটলি ঘোষণা করেন, ১ জুলাই থেকে চালু হবে জিএসটি
- ২৭ মার্চ সংসদে জিএসটি সংক্রান্ত সব বিল পেশ করেন জেটলি। রাজ্যসভা ও লোকসভায় পাশ হয়ে যায় বিলগুলি