আমদাবাদ: জঙ্গিযোগ রয়েছে সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলের। এই অভিযোগ করলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। রূপানির দাবি, রাজ্যসভা থেকে প্যাটেলকে পদত্যাগ করতে হবে।


গুজরাট ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বড়সড় বোমা ফাটিয়েছেন বিজয় রূপানি। তাঁর বক্তব্য, ভারুচে আহমেদ প্যাটেলের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা সর্দার প্যাটেল হাসপাতাল অ্যান্ড হার্ট ইনস্টিটিউটে ল্যাব টেকনিশিয়ানের পদে ছিল গুজরাত এটিএসের হাতে ধরা পড়া আইএস জঙ্গি কাসিম স্টিমারওয়ালা। ধরা পড়ার ঠিক ২ দিন আগে সে চাকরি করে অথবা তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। এই যোগাযোগটা কীসের। কী জন্য কাসিমকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, ধরা পড়ার ঠিক আগে সে পদত্যাগই বা করল কেন। প্যাটেলকে গোটা দেশকে জানাতে হবে, তিনি এই জঙ্গির ব্যাপারে জানতেন, না জানতেন না। কংগ্রেস ও রাহুল গাঁধীকেও এ ব্যাপারে জবাব দিতে হবে। রূপানির দাবি, রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিতে হবে আহমেদ প্যাটেলকে।

আহমেদ প্যাটেল

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই জঙ্গিরা এক হিন্দু ধর্মগুরু, হিন্দু উপাসনাস্থল ও ইহুদিদের সিনাগগে হামলার ছক করেছিল। পাসপোর্ট ও ভিসা জোগাড় করে বিদেশ পালানোর মতলবও কষা হয়ে গিয়েছিল তাদের।

রূপানি বলেছেন, আহমেদ প্যাটেল ওই হাসপাতালের ট্রাস্টি ছিলেন, ২০১৪ সালে পদত্যাগ করেন। কিন্তু এখনও তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় চলে হাসপাতাল। ২০১৬-য় যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে আসেন তখন সেই অনুষ্ঠান প্যাটেলই করেছিলেন, ছিলেন মঞ্চেও।

যদিও কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি গুজরাতে হারবে বুঝতে পেরে এসব ভুলভাল অভিযোগ তুলেছে। সর্দার প্যাটেল হাসপাতালের সঙ্গে আহমেদ প্যাটেল বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যের কোনও যোগ নেই, কর্মীদের চাকরি দেওয়াতেও হাত নেই তাঁদের।