আমদাবাদ: পুলিশি এনকাউন্টারে তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে, প্রবীণ তোগাড়িয়ার এহেন আশঙ্কাকে সিরিয়াস ব্যাপার বলল গুজরাত কংগ্রেস। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই শীর্ষ নেতা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন গতকাল। আজ তাঁকে দেখতে যান প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা অর্জুন মোদভাদিয়া, যিনি ভিএইচপির হিন্দুত্ববাদী ভাবনাচিন্তার কট্টর সমালোচক।
গতকাল রাজস্থান পুলিশের একটি দল পুরানো মামলার ব্যাপারে তাঁকে গ্রেফতার করতে আমদাবাদ আসার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তোগাড়িয়ার। পরে তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে পাওয়া যায়। সাংবাদিক বৈঠকে ভিএইচপি-র আন্তর্জাতিক ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট তোগাড়িয়া আজ দাবি করেন, হিন্দু সমাজের হয়ে সরব হন বলে তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পুরানো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে ভুয়ো সংঘর্ষে পুলিশ মেরে ফেলবে, এই ভয়ে তিনি গতকাল গা ঢাকা দেন।


মোদভাদিয়া ছাড়াও তোগাড়িয়াকে দেখতে যান হার্দিক পটেলও, যিনি সাম্প্রতিক গুজরাত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। হার্দিক বলেন, সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রবীণভাইয়ের আদর্শের সঙ্গে আমি একমত না হতে পারি, কিন্তু তাঁর সঙ্গে রয়েছি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা কী ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন, আমরা সবাই জানি। হিন্দুদের কথা বলতে পারব না, তবে একটি হিন্দু সংগঠনের নেতা সত্যিই বিপদে পড়েছেন।
গুজরাত প্রতোগাড়িয়াকে দেখে এসে কংগ্রেস নেতাটি বলেন, আমরা সবাই রাজস্থান পুলিশের ট্র্যাক রেকর্ডের সঙ্গে পরিচিত। সঞ্জয় জোশী, হারেন পান্ড্যর মতো বিজেপি নেতা বা সিবিআই বিচারক বি এইচ লোয়া-বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললে যিনিই মুখ খুলুন, তাঁদের কী পরিণতি হয়, সেটাও আমাদের জানা। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য তোগাড়িয়ার অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।দেশ কংগ্রেস সভাপতি ভারতসিন সোলাঙ্কি, রাজ্যের সাংগঠনিক ভারপ্রাপ্ত কংগ্র্রেস নেতা অশোক গেহলতও তোগাড়িয়ার এনকাউন্টারে খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার ব্যাপারে তদন্ত দাবি করেন। ২০০২ সালে রাজস্থানের গঙ্গাপুর শহরে পুলিশি নির্দেশ অমান্য করায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন তোগাড়িয়া। সে সময় গেহলতই ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। গেহলত বলেন, তোগাড়িয়া অতীতেও গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজস্থানে, কংগ্রেস আমলে। শাসক দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে বলে শোনা যায়। তাঁর সঙ্গে এরকম হয়ে থাকলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী, সেটা সহজেই কল্পনা করতে পারি। এটা গুরুতর ইস্যু, রাজ্য সরকার তদন্তের নির্দেশ দিক।
সোলাঙ্কি বলেন, গুজরাতের আইনশৃঙ্খলার পুরোপুরি অবনতি হয়েছে। তোগাড়িয়ার দাবিতেই তার প্রতিফলন রয়েছে। আমরা চাই, সত্য উদ্ঘাটনে তোগাড়িয়ার অভিযোগের তদন্ত হোক।