আমদাবাদ: গুজরাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেস ছাড়লেন প্রবীণ নেতা বিজয় কেল্লা। তিনি গুজরাত কংগ্রেসের ত্রাণ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, জাত-পাতের রাজনীতিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে দলের অনুগত কর্মীদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী অল্প কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গেই দেখা করেন। কর্মীদের সঙ্গে তিনি দেখা করেন না। সেই কারণেই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজয়। তিনি গুজরাত কংগ্রেসের সভাপতি ভারতসিংহ সোলাঙ্কির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই বিজেপি-তে যোগ দিতে চলেছেন বিজয়।

কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণার পর বিজয়ের অভিযোগ, ‘পতিদার সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করা হার্দিক পটেল, ওবিসি নেতা অল্পেশ ঠাকর ও দলিত আন্দোলনকারী জিগনেশ মেভানিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দল। সোলাঙ্কি কিছু বোঝেন না। রাহুল গাঁধী দলের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন না। তিনি অল্প কয়েকজন নেতার সঙ্গেই দেখা করেন। পটেল, মেভানি ও ঠাকরের সঙ্গে দেখা করা এবং বক্তৃতায় তাঁদের কথা উল্লেখ করার বদলে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করা উচিত রাহুলের।’

বিজয় আরও বলেছেন, তিনি ৩৮ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আদর্শ ও অনুগত কর্মীদের উপেক্ষা করায় এখন গুজরাতে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শেষ লড়াই করছে কংগ্রেস। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাধবসিংহ সোলাঙ্কির ক্ষত্রিয়, হরিজন, আদিবাসী, মুসলিম (খাম) তত্ত্ব দলের ক্ষতি করেছে। এই তত্ত্বের সাহায্যে এখন গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনে জয় পাওয়া সম্ভব নয়।