এরপরই আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন রুপানি। নিজেকে অন্তরালে সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সচিব অশ্বিনী কুমার অবশ্য আজ ডাক্তার, বিশেষজ্ঞরা তাঁর টেস্ট করিয়েছেন, এখনও তাঁর মধ্যে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ নেই বলে জানান। তবে সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বাইরের কাউকে যেতে দেওয়া হবে না।
আমদাবাদের জামালপুর-খাদিয়া আসনের বিধায়ক উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল ও স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ সিংহর সঙ্গেও দেখা করেছেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
জানা গেছে, আমদাবাদের নির্দিষ্ট কিছু অংশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা। সেই দলে ছিল খেডাওয়ালাও।
ওই বৈঠকে যাঁরা ছিলেন খেডাওয়ালের করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, যে ব্যক্তির কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ হয়েছে, সেই ব্যক্তিকে রিপোর্ট আসার আগে ডাকা হল কেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হল কেন।
গুজরাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ছয়শ। মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত আমেদাবাদে। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৩। এরপরেই রয়েছে ভডোডরা (১১৩), সুরাট (৪২), ভাবনগর (২৬), রাজকোট (১৮), গাঁধীনগর (১৬), পাটান (১৪), ভারুচ (১১), আনন্দ (১০), ছোটা উদেপুর (৫), কুচ ও মেহসানা (চারজন করে), পোরবন্দর (৩), পঞ্চমহল, বনসকান্ঠা, দাহোড় ও গির সোমনাথ (২ জন করে) এবং জামনগর, মোরবি ও সবরকান্তা (১ জন করে)।