আমদাবাদ: গুজরাতে করোনা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যার নেপথ্যে আঙুল উঠছে মানুষের উদাসীনতার দিকে। বলা হচ্ছে, মাস্ক না পরে প্রচুর মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানা হচ্ছে না পারস্পরিক দূরত্ববিধির নিয়ম। যা দেখে ক্ষুব্ধ আদালতও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিনব শাস্তির নিদান দিল গুজরাত হাইকোর্ট।


কী সেই শাস্তি? মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরলে এবার থেকে কোভিড কেয়ার সেন্টারে করতে হবে রোগীদের শুশ্রূষা!

মাস্ক পরা নিয়ে অনুরোধ উপরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু বাড়বাড়ন্ত সংক্রমণের মধ্যে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল গুজরাত হাইকোর্ট। মাস্ক না পরে জনসমক্ষে এলে বাধ্যতামূলক ভাবে করোনা পরিস্থিতিতে সমাজসেবার কাজ করতে হবে, ব‌ৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট। নিয়মভঙ্গ করে ধরা পড়লে অন্তত পাঁচদিন ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা করে এই সেবা করতে হবে, জানাচ্ছে গুজরাত হাইকোর্ট।

গুজরাতে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ১১ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে সক্রিয় করোনা রোগী ১৪ হাজার ৮৪৪। গত চব্বিশ ঘণ্টাতেও আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৭৭ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরা ছাড়া কার্যত আর কোনও বিকল্প নেই বলে বারবার জানিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বেলাগাম সংক্রমণের মুখেও অনেকেই এখনও পর্যন্ত উদাসীনতা দেখিয়ে আসছেন।

এই সচেতনতার অভাব দেখে বিস্মিত আদালতের বিচারপতিরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিন কয়েক আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, ভ্যাকসিনের দিনক্ষণ জানা যাচ্ছে না, কিন্তু ধাপে ধাপে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা কোনও ভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। যদিও বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মানুষের সচেতনতার অভাব আর বেপরোয়া মানসিকতা করোনার বিপদকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। সেই দিক মাথায় রেখেই এই অভিনব শাস্তির নিদান দিল গুজরাত হাইকোর্ট।