আমদাবাদ: গুজরাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকেই সমর্থন করবে পতিদার আনামত আন্দোলন সমিতি। এ বিষয়ে দুই শিবিরের সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। আগামীকাল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন হার্দিক পটেল। আজ এমনই দাবি করলেন গুজরাতের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভরত সিংহ সোলাঙ্কি। তিনি আরও বলেছেন, হার্দিকের দল আসন্ন নির্বাচনে লড়াই করার জন্য কোনও আসনের দাবি জানায়নি।


এর আগে শোনা গিয়েছিল, হার্দিক কংগ্রেসকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজেপি-র বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেশ কয়েকটি আসনে লড়াই করবেন পাতিদার সংরক্ষণ আন্দোলনের ৮ থেকে ১০ জন নেতা। কিন্তু সোলাঙ্কি বলেছেন, যে সমস্যাগুলির কারণে সমঝোতা হচ্ছিল না, সেগুলি মিটে গিয়েছে। আগামীকাল রাজকোট থেকে এ বিষয়ে ঘোষণা করবেন হার্দিক।

গুজরাতে পটেলদের সংরক্ষণের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন হার্দিক। কিছুদিন আগে একটি হোটেলে তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর বৈঠক হয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। যদিও হার্দিক সেই বৈঠকের খবর অস্বীকার করেন। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল পতিদার আনামত আন্দোলন সমিতি। হার্দিক কিছুদিন আগে বলেন, শিক্ষা ও চাকরিতে পটেলদের সংরক্ষণের বিষয়ে কংগ্রেসকে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। সে বিষয়ে এখনও কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি। তবে সোলাঙ্কির দাবি অনুযায়ী, আর কোনও সমস্যা নেই।

গুজরাতে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট্গ্রহণ হবে ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর। গণনা হবে ১৮ ডিসেম্বর। মোট ভোটারের প্রায় ১৫ শতাংশ পটেল সম্প্রদায়ের। মোট ১৮২টি আসনের মধ্যে ৬০টির ফল নির্ধারণ করতে পারেন পটেলরা। কংগ্রেসের আশা, হার্দিক সমর্থন করলে এবার পটেলদের ভোট তাদের ঝুলিতেই যাবে। হার্দিক ছাড়াও ওবিসি নেতা অল্পেশ ঠাকোর ও দলিত নেতা জিগনেশ মেওয়ানিও কংগ্রেসকে সমর্থনের পথে। ফলে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফলের বিষয়ে আশাবাদী কংগ্রেস।

অন্যদিকে, হার্দিকের প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কেতন পটেল বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। হার্দিকের মতোই তাঁর বিরুদ্ধেও পতিদার সংরক্ষণ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার দায়ে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয় কেতনকে। গত বছরের অগাস্টে তাঁকে ও চিরাগ পটেলকে পতিদার আনামত আন্দোলন সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপি-র হয়ে কাজ করার অভিযোগ আনেন হার্দিক। দু’দিন আগেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন চিরাগ। একই পথে হাঁটলেন কেতনও।