ভদোদরা:গুজরাতে অদ্ভূত ঘটনা। ভদোররা জেলায় এক মহিলার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ভূতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ।


পাদ্রা তালুকের চোকারি গ্রামে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক গৃহবধূ। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকেরা ওই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তাঁকে সরকারি এসএসজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ ওই গৃহবধূ মণীষা পাধিয়ারের কাছে তাঁর আত্মহত্যার কারণ জানতে চায়। গৃহবধূ যে দাবি করেন, তাতে পুলিশ অবাক হয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, একটা ভূত তাঁকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিতে বলেছিল। মণীষা বলেছেন, ‘ওই ভূত প্রথমে আমাকে গায়ে কেরোসিন ঢালতে বলে। এরপর ভূত আমাকে আগুন ধরানোর নির্দেশ দেয়। ওই কথা শুনে আমি দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিই’।

পুলিশ এই ঘটনায় অভিযোগ নথিভূক্ত করেছে এবং অভিযুক্তের জায়গায় লেখা হয়েছে, ‘অজ্ঞাত পরিচয় ভূত’।

পরিবারের লোকজনের দাবি, তাঁদেরকেও মণীষা একই কথা বলেছেন। প্রতিবেশী প্রীতিবেন বলেছেন, ‘জানি না কোন ভূতের কথা ও বলছে। কিন্তু ও আমাদেরও একই কথা বলেছে’।

যদিও ভূতের এই কেরামতির কথা আদৌ মানতে নারাজ মণীষার বাবা। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের কারণেই তাঁর মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আর এখন শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই ওই ভূতের গল্প ফেঁদেছেন’।

একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করেছেন যে, মেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ কখনওই করেনি।

পুলিশ এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেনি পুলিশ।