গাঁধীনগর বেকারির জেরে রাজ্যের যুবসমাজে অস্থিরতা মাথাচাড়া দেওয়ার কথা বলে ফের ক্ষমতায় বসার কয়েকদিনের মধ্যেই গুজরাতে বিজয় রুপানি সরকারকে সতর্ক করলেন রাজ্যপাল ও পি কোহলি। গাঁধীনগরে গুজরাত টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির সপ্তম কনভোকেশনে তিনি বলেন, চাকরি, কাজ না পেয়ে যুবকদের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে দেখতে পাচ্ছি। উচ্চশিক্ষার অধিকারী হয়েও চাকরি না পেলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিকই। তবে যুবকদের মধ্যে হতাশা, অসন্তোষ জমা হওয়া যে কোনও সমাজের কাছেই বিপদ সঙ্কেত। বিরোধী কংগ্রেসের কাছে সাম্প্রতিক রাজ্য বিধানসভা ভোটে নানা ইস্যুর মধ্যে একটি ছিল বড় ডিগ্রিধারী যুবকদের বেকার থেকে যাওয়ার বিষয়টি । এবারের ভোটে কংগ্রেসের থেকে সামান্য কিছু বেশি আসন পেয়ে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভপতি অমিত শাহের রাজ্যে তাদের বহুচর্চিত গুজরাত মডেলের সাফল্য দেখাতে পারেনি। সেই প্রেক্ষাপটেই খোদ রাজ্যপালের বক্তব্য নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলেছে রুপানি সরকারকে। তিনি এও বলেছেন, উচ্চশিক্ষা অর্জন করা ছাত্রছাত্রীরা সঠিক কাজের সুযোগ পাবে কিনা, সেটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবাটা জরুরি। একইসঙ্গে উচ্চশিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও এর ফলে প্রশ্ন উঠবে। রুপানির সামনেই তিনি এ কথা বলেন। দেশের গ্রাম, শহরের মানুষের মধ্যে সমান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন কোহলি। বলেন, শুধু কয়েকটা শহরের উন্নতি হলেই গোটা দেশের সমৃদ্ধি হয়েছে বলা যায় না। উন্নয়নের সুফল যেন সমাজের একেবারে নীচুতলার মানুষের কাছে পৌঁছয়। তবে পাছে রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা হয়, সেজন্য পরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভূপেন্দ্রনাথ চুদাসামা বলেন, উনি আমাদের বড়। রাজ্যপাল নিজের মতামত দিয়েছেন। বিজেপি সরকার তা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই বিচার করে দেখবে।