ভাবনগর: ২০১৭-র গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন স্রেফ দুটি দলের যুদ্ধ নয়, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তার লড়াই নয়, এই ভোটে কংগ্রেসের জাতপাত, পরিবারতন্ত্রের শাসন না নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের রাজনীতি, কার জয় হবে, তা নির্ধারিত হবে বলে অভিমত জানালেন অমিত শাহ। গুজরাত বিজেপি সভাপতি জিতু ভাগানির ভাবনগর (পশ্চিম) কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পেশের সময় এক সভায় ভাষণ দিয়ে বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, গুজরাতের মানুষকে ঠিক করতে হবে, তারা কি ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত রাজ্যে খাম তত্ত্ব প্রয়োগ করে জাতপাতের সংঘাত বাঁধানোর চেষ্টা করেছিল যে কংগ্রেস, তাদের ভোট দেবেন না কি ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত রাজ্যে বিজেপি সরকারের বহাল রাখা উন্নয়ন, স্থিতিশীলতাকে বেছে নেবেন? প্রসঙ্গত, ক্ষত্রিয়, হরিজন, আদিবাসী, মুসলিম-এই নিয়ে তৈরি খাম গুজরাতে বড় ভোটব্যাঙ্ক বলে গণ্য হয়।
কংগ্রেস গুজরাতে জিততে এবার তাদের প্রচার আউটসোর্স করার চেষ্টা করেছে, শুধু জাতপাতের রাজনীতিতে ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অমিত। বলেন, গুজরাতবাসী ঠিক করুন, তাঁরা জাতপাত, বংশানুক্রমিক শাসন, সংখ্যালঘু তোষণ না বিজেপির উন্নয়নের রাজনীতি, স্থিতিশীলতা চান। আমাদের নেতা নরেন্দ্র মোদী ভারতকে জাতপাত, পরিবারের রাজত্ব, সংখ্যালঘু তোষণ থেকে মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, গুজরাতের জন্য ওদের ইউপিএ সরকার কিছুই করেনি। গুজরাতকে ট্যুরিস্ট স্পট বলে মনে করেন রাহুল। উনি প্রায়ই এখানে আসছেন। তাতে অবশ্য আমাদের কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু উনি বলুন, দশ বছর দিল্লি শাসন করা সনিয়া-মনমোহন সরকার গুজরাতের জন্য কী করেছে। কিছুই করেনি ওরা। নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে ক্ষমতায় এসে বুলেট ট্রেন, রো-রো ফেরি সার্ভিস, সৌরাষ্ট্র এলাকাকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েছেন, গুজরাতের সঙ্গে কেন্দ্রের বকেয়া যাবতীয় সমস্যা মিটিয়েছেন।