২২ বছর হয়ে গেল কংগ্রেস গুজরাতে ক্ষমতায় নেই।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বিজেপি জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করছে বটে, তবে গাঁধীনগরে কংগ্রেসের বিজয়মিছিল ঠেকাতে পারবে না ওরা। এইসব নেতা ও দলের 'সমর্থন ও আশীর্বাদে' ১৮২টির মধ্যে কংগ্রেস ১২৫টির বেশি আসনে জিতবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সোলাঙ্কি।
তিনি বলেন, হার্দিক যে কারণে লড়ছেন, আমরা তা সম্মান ও অনুমোদন করি। ওঁকে অনুরোধ করছি, কংগ্রেসকে সমর্থন করুন। উনি চাইলে ভবিষ্যতে ওঁকে ভোটে লড়ার টিকিটও দিতে পারি আমরা। অল্পেশ, মেভানিকেও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। রাজ্যসভা ভোটে যে ছোটু ভাসাভা আমাদের সাহায্য করেছিলেন, তাঁর সমর্থনও চাইছি।
প্রসঙ্গত, জেডি ইউ বিহারে বিজেপির হাত ধরে সরকার গড়লেও উল্টো পথে হেঁটে রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী আহমেদ পটেলকে ভোট দেন ভাসাভা। জিতে যান পটেল।
রাজ্যসভা নির্বাচনে পটেলকে ভোট দেবেন বলে কথা দিয়েও বিজেপি প্রার্থী বলবন্তসিন রাজপুতকে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেন ২ এনসিপি বিধায়ক। সোলাঙ্কি বলেন, এনসিপি রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেও ওরা গুজরাত থেকে বিজেপিকে হটাতে চাইলে ওদের জন্য খোলা রয়েছে আমাদের দরজা।
গুজরাতে আমআদমি পার্টির কয়েকজন নেতা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলেও দাবি করেন সোলাঙ্কি। জানান, এ মাসের শুরুতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন আপ নেতা কানুভাই কালসারিয়া। ওঁর মতোই আরও নেতা কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।