গাঁধীনগর: জাতপাত নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য শোনা যায়। পিছিয়ে থাকবেন কেন গুজরাত বিধানসভার অধ্যক্ষ! তিনিও জাতপাত সম্পর্কে তাঁর জ্ঞানের কথা সর্বসমক্ষে জানালেন!প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সংবিধানপ্রণেতা বিআর অম্বেডকরের জাত নিয়ে বলতে গুজরাত বিধানসভার অধ্যক্ষ রাজেন্দ্র ত্রিবেদী ছেড়ে কথা বললেন না ভগবানকেও। নিজের জ্ঞানের বহর জানিয়ে তিনি বললেন, মোদী ও অম্বেডকর ব্রাহ্মণ আর ভগবান কৃষ্ণ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (ওবিসি) ভূক্ত।
ত্রিবেদীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন উত্তর-পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ উদিত রাজ। তিনি বলেছেন, অধ্যক্ষর এই মন্তব্য আপত্তিজনক ও অপ্রয়োজনীয়। ত্রিবেদীর ধারণাই নেই, এরফলে তিনি দলের কতটা ক্ষতি করলেন।
গাঁধীনগরে আয়োজিত মেগা ব্রাহ্মণ বিজনেস সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিবেদী বললেন, ব্রাহ্মণরা কখনওই ক্ষমতার জন্য লালায়িত নন। ব্রাহ্মণরা রাজাদের সাফল্যের পথ প্রদর্শণ করে এসেছেন।
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, শ্রীরাম ও শ্রীকৃষ্ণের উদাহরণ দিয়ে ত্রিবেদী বলেছেন, আমি সবসময়ই বলি যে, ব্রাহ্মণরাই ভগবান তৈরি করেছেন। ভগবান রাম একজন ক্ষত্রিয়। কিন্তু মুনি-ঋষিরা তাঁকে ভগবান হিসেবে তৈরি করেছেন। গোকুলের গোপালক (কৃষ্ণ) ওবিসি ছিলেন, যাঁকে সন্দীপনী ঋষি ভগবান হিসেবে তৈরি করেন।
বডোডরার রাওপুরার বিজেপি বিধায়ক ত্রিবেদী বলেছেন, লেখাপড়া জানা প্রত্যেক মানুষই ব্রাহ্মণ। আমার এ কথা বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, অম্বেডকরও একজন ব্রাহ্মণ ছিলেন। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ব্রাহ্মণ।
ত্রিবেদী আরও বলেছেন, ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় দেশকে পাঁচ রাষ্ট্রপতি, সাত প্রধানমন্ত্রী, ৫০ মুখ্যমন্ত্রী, ৫০-এর বেশি রাজ্যপাল, ২৭ ভারতরত্ন বিজয়ী ও সাতজন নোবেল পুরস্কারজয়ী উপহার দিয়েছে।