গুরগাঁও-এর একটি শপিং মলে বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন শিবানী গুপ্তা। অভিযোগ, এক মধ্যবয়স্ক মহিলা হঠাৎই তাদের অত্যন্ত খারাপভাবে ডাকেন। কথা বলার ভঙ্গিতেই বেশ অবাক হন ওই দুই তরুণী। এরপর ওই মহিলা তাদের পোষাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা শুরু করেন। কালো কুর্তি পরা ওই মহিলা বলেন, ছোট পোশাক পরার জন্য তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। এভাবে তারা পুরুষদের অনর্থক দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের পোষাকই ধর্ষণে ইন্ধন জোগায়।
এই ধরনের মন্তব্য শুনে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন শিবানী ও তার বান্ধবী। তাঁরা ভিডিও করতে শুরু করেন মহিলার, ভিডিওতেই দেখা যায়, নিজের মন্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা চেয়ে নিতে বলেন ওই দুই তরুণী। কিন্তু ক্ষমা চাওয়া দূরের কথা, নিজের বক্তব্য থেকে অনড় থাকেন মহিলা। এমনকি পুলিশ ডাকবেন বলেও হুমকি দেন তিনি। তর্ক বিতর্কে শপিং মলের মধ্যে লোক জমায়েত হয়ে যায়। ওই দুই তরুণীর পাশে দাঁড়ান আরও অনেকে।
শিবানী জানান, ‘ওই মহিলাকে ক্ষমা চাইবার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু উনি আরও বেশি কটূক্তি করছিলেন’। ওই দুই তরুণীর পাশে দাঁড়িয়ে এক মহিলা বলেন, ‘আমারও মেয়ে রয়েছে, আপনি নিজেই পুরুষদের ধর্ষণে ইন্ধন জোগাচ্ছেন। এই মেয়ে দুটি ভদ্র তাই আপনাকে কেবল ক্ষমা চাইতে বলছে, আমি হলে হাত উঠে যেত’।
শিবানীরা যুক্তি দেন, পোশাকই যদি ধর্ষনের কার হয় তাহলে শিশুরা ধর্ষিত হয় কেন? যদিও এই কথার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই মহিলা। বাকযুদ্ধ চরমে উঠলে অভিযুক্ত মহিলা বলেন, এই ভিডিওটি ভাইরাল করে দিলেও তার কিছু যায় আসে না। এরপরেই শিবানী ওই ভিডিও নিজের ফেসবুক থেকে পুরো ঘটনাটি লিখে পোস্ট করেন।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরতেই ভাইরাল হয়ে যায ভিডিওটি। সাধারণ মানুয থেকে নৃত্যশিল্পী রফতার ও অভিনেতা রাঘর জুয়েল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন।