রোহতক: রোহতক জেলে কোনও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না জোড়া ধর্ষণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত গুরমীত রাম রহিম সিংহ ইনসানকে।
সম্প্রতি, জামিনে মুক্তি পাওয়া জেলেরই আরেক বন্দি দাবি করে, সে কখনই ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধানকে এমন কোনও কাজ করতে দেখেনি, যা অন্য বন্দিদের দিয়ে করানো হয়। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধী আক্রমণের মুখে পড়তে হয় হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টার সরকারকে
মঙ্গলবার, সব অভিযোগ খারিজ করে রাজ্য প্রশাসন। এদিন হরিয়ানার কারামন্ত্রী কৃষাণ লাল পানোয়ার জানান, রাম রহিমকে কোনও ভিআইপি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ডেরা প্রধানের সঙ্গে আর বাকি বন্দিদের মতোই ব্যবহার করা হচ্ছে।
বন্দির আনা অভিযোগ খারিজ করে মন্ত্রী দাবি করেন, দুটি ব্যারাকের মধ্যে বিস্তর ফারাক। কেউ কারও সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারে না। পানোয়ার যোগ করেন, জামিনে বের হওয়া বন্দি নিজের মন থেকে এই কথাগুলি বলে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, রাহুল জৈন নামে ওই বন্দির অভিযোগ, রাম রহিমকে বিশেষ সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার জন্য জেলকর্মীরা উপঢৌকন পেয়ে থাকেন। যদিও সেই অভিযোগ পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাম রহিমের সেলে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। কারও সঙ্গে সাক্ষাত করতে দেওয়া হয় না।
জেল কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, গুরমীত যখন সেলের বাইরে থাকে, তখন অন্যরা নিজেদের সেলে থাকে। এমনকী, সেলের বাইরে বের হলে শুধুমাত্র ক্যান্টিনে গিয়ে দুধ, জল ও জুস নিতে যায় ডেরা প্রধান।
প্রসঙ্গত, নিজের দুই শিষ্যাকে ধর্ষণ করার অপরাধে গুরমীত রাম রহিমকে ২০ বছরের জেল ও ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে পাঁচকুলার বিশেষ আদালত।
ডেরা প্রধান দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই পাঁচকুলা, সিরসা সহ হরিয়ানায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ৩৮ জন মারা যান। আহত হয়েছিলেন ২৬৪ জন। এই ঘটনায় রাম রহিমের ছায়াসঙ্গী তথা ‘পালিত কন্যা’ হনিপ্রীত ইনসান সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।