উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে রাজনের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। এর চারদিন পরই ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নোট বাতিল নিয়ে এতদিন কোনও মন্তব্য করেননি রাজন। তিনি জানিয়েছেন, নোট বাতিলের পক্ষে ছিলেন না তিনি। কারণ, তাঁর মতে এরফলে সাময়িক যে ক্ষতি হবে তার পরিমাণ দীর্ঘমেয়াদি লাভের তুলনায় অনেক বেশি। নিজের বই ‘আই ডু হোয়াট আই ডু’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক।
রাজন বলেছেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সরকারের পক্ষ থেকে নোট বাতিল সম্পর্কে তাঁর অভিমত চাওয়া হয়েছিল। ‘মৌখিকভাবে’ সরকারের কাছে নিজের অভিমত জানিয়েছিলেন তিনি।
গত বছরের ৮সেপ্টেম্বর নোট বাতিলের ঘোষণায় তিনিও আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে রাজন বলেছেন, তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর থাকার সময় নোট বাতিল ঘোষণার জন্য কোনও নির্দিষ্ট তারিখ স্থির হয়নি।
রাজন বলেছেন, গভর্নর পদে মেয়াদ শেষে আমেরিকা যাওয়ার সময় তিনি সঙ্গে ভারতীয় নোট নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই নোটগুলি বদলাতে তাঁকে দেশে ফিরতে হয়েছিল।
ভারতে অন্য কোনও পদে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, নাকি আমেরিকায় পড়ানোর পেশাতেই তিনি সন্তুষ্ট? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজন বলেছেন, বিদেশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের থেকে তিনি আলাদা নন। এমনও অনেকেই আছেন ডাক পেলে দেশে ফিরে কাজ করতে ইচ্ছুক।
রাজনের কথায়, ‘আমাদের অনেকেই ও দেশে স্বচ্ছন্দে থাকেন। ভারতে ফেরা এবং আমি যে কাজ করেছিলাম, তাতে দুর্দান্ত একটি পরিপূর্ণতার অনুভূতি রয়েছে..। হ্যাঁ, আবার ডাকা হলে..যেখানে বড় কিছু কাজ করা যাবে..এমনটা হলে অবশ্যই ফিরে আসতে রাজি’।