নয়াদিল্লি: লাভ জেহাদ মামলায় বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা কেরলের মেয়ে হাদিয়াকে সু্প্রিম কোর্ট পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ায় খুশি তার বাবা কে এম অশোকন। গতকালই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ লাভ জেহাদের 'শিকার' হাদিয়াকে তার বাবা-মায়ের হেফাজত থেকে মুক্ত করে তামিলনাড়ুর সালেমের কলেজে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। হাদিয়া অবশ্য স্বামী সাফিন জেহানের কাছে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল।
ভিন ধর্মের বিয়ে প্রসঙ্গে অশোকনের মত, আমি এক ঈশ্বর, এক ধর্মে বিশ্বাস করি। তবে একজন 'সন্ত্রাসবাদী'কে পরিবারে জায়গা দিতে পারব না।
প্রসঙ্গত, ধর্ম বদলে হাদিয়া হয়েছে অশোকনের মেয়ে অখিলা, বিয়ে করেছে মুসলিম প্রেমিক সাফিন জাহানকে, যা থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে মগজ ধোলাই করে ধর্ম বদলানো হয়েছে অখিলার। সাফিন পুতুল মাত্র, পিছনে আছে আইএস। অখিলাকে রিক্রুট করা হয়েছে সিরিয়ায় পাঠানোর জন্য। অশোকন বলেন, সিরিয়া সম্পর্কে কোনও ধারনাই নেই হাদিয়ার। ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার ওখানেই যেতে চেয়েছিল ও। আমার কষ্ট এটাই যে, ওকে এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতিতে পড়তে হল, যে জন্য ক্ষতি হয়েছে ওর পড়াশোনার। আমি খুশি যে, আদালত ওকে আরও পড়াশোনার অনুমতি দিল।
হাদিয়াকে গৃহবন্দি রাখার অভিযোগ উড়িয়ে অশোকন বলেন, ওকে বাড়ির ভিতরে, বাইরে ঘিরে থাকত শুধু পুলিশ।
আজই কেরল পুলিশ হাদিয়াকে নিয়ে সালেম রওনা হয়েছে। অশোকন জানান, তিনি সালেমে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন, কেননা গোটা বিষয়টার ওপর এখন নজর থাকছে সুপ্রিম কোর্টের। তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট সম্মতি দিয়েছে, দাবি করে দরকার হলেই তিনি সালেমে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানান অশোকন। বলেন, সাফিন জাহান সহ কাউকেই আমার মেয়ের অভিভাবক করেনি আদালত। শুধু তাঁর মতো একান্ত কাছের লোকজনকেই ওর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে।
কেরল হাইকোর্ট গত ২৯ মে হাদিয়া, সাফিনের বিয়ে বাতিল করে দেওয়ার পর প্রায় ৬ মাসে মেয়েটি বাবা-মায়ের কাছেই ছিল। বিয়ের অনেকদিন আগেই সে ইসলাম গ্রহণ করে।