নয়ডা: জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার এবং হাফিজ সঈদকে ভারতে এনে তাদের হাল ওসামা বিন লাদেনের মতো করা উচিত। এমনটাই মনে করেন যোগগুরু রামদেব। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ জঙ্গি, যাতে ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন। তাঁর মতে, এই হামলা দেশের সার্বভৌমত্ব, একতা ও অখণ্ডতার ওপর আঘাত। তিনি বলেন, সময় এসেছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার।
রামদেব বলেন, দেশী হোক বা ভিনদেশি-- সব জঙ্গিকেই খতম করতে হবে। বিশেষ করে হাফিজ সঈদ ও মাসুদ আজহারকে। যেখানেই তারা থাকুক না কেন, তাদের ভারতে এনে ওসামা বিন লাদেনের মতো শেষ করা উচিত। তিনি যোগ করেন, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে যে জঙ্গি-শিবিরগুলি চলছে, সেগুলিকে ধ্বংস করা উচিত এবং সম্ভব হলে ওই এলাকাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হোক।
যোগগুরুর মতে, পাকিস্তান এক অপরিণত, বোকা ও অশিক্ষিত দেশের মতো আচরণ করছে। এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উচিত পাকিস্তানকে যোগ্য শিক্ষা দিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। রামদেব বলেন, মোদিজির অন্তত এটা বলা উচিত, যা ঘটেছে, এরপর মাসুদ আজহার ও হাফিজ সঈদ বেঁচে থাকবে না। এর জন্য যে যে কৌশল অবলম্বন সম্ভব, সবকিছুই করা উচিত সরকারের।
রামদেবের মতে, যখনই এধরনের নাশকতা হামলার ঘটনা ঘটে, আমরা বদলা কথা বলি। শুধু বলিই। একে অপরের দিকে আঙুল তুলি। কিন্তু, এখন এসব কথা বলার দিন শেষ। এসব করে কোনও লাভ নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। গোটা দেশের উচিত তাঁর সেই পদক্ষেপকে সমর্থন করা। এখন সস্তা রাজনীতি করার সময় নয়। কারণ, এখন প্রশ্ন দেশের সার্বভৌমত্ব, একতা ও অখণ্ডতার।
যোগগুরুর মতে, এখন একটা-দুটো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। তার বাইরে গিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সবকটি জঙ্গি ঘাঁটিগুলি এক লহমায় ধ্বংস করা উচিত। পাকিস্তানের হাতে যদি পরমাণু অস্ত্র থেকে থাকে, তাহলে তা ভারতের হাতেও আছে। তবে, প্রশ্ন পরমাণু অস্ত্রের নয়, দেশের সাহস ও সার্বভৌমত্বের।