শ্রীনগর: লস্কর ই তৈবার পান্ডা হাফিজ সইদের জামাই খালিদ ওয়ালিদ কাশ্মীরের পাম্পোরে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার মাস্টারমাইন্ড। তার দুই ডেপুটি হাজলা আদনান ও সাজিদ জাট হামলায় যুক্ত দুই জঙ্গির হ্যান্ডলার ছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরের লস্কর কমান্ডার আবু দুজানা স্থানীয়ভাবে জঙ্গিদের রসদ সরবরাহ করে। ঘটনার তদন্তে নেমে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই তথ্য সংগ্রহ করেছে। তারা জেনেছে, পাকিস্তান ওই হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল। আরও জানা গেছে, গত বছর অগস্টের শুরুতে বিএসএফ কনভয়ে হামলার ঘটনায় ধরা পড়ে মহম্মদ নাভিদ নামে এক লস্কর জঙ্গি। হাফিজের জামাইয়ের দুই ডেপুটি আদনান ও জাট এই নাভিদেরও হ্যান্ডলার ছিল। আদতে কাশ্মীরের হলেও গত কয়েক বছর ধরে এরা ঘাঁটি গেড়েছে সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানে।


গোয়েন্দাসূত্রে খবর, ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য জামাই খালিদ ওয়ালিদকে নিজের হাতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে হাফিজ সইদ। জম্মু কাশ্মীরে সেনার বিরুদ্ধে লস্কর হামলাতেও নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেছে এই ওয়ালিদ। দীর্ঘদিন ধরে সে ছিল জামাত উদ দাওয়ার সঙ্গে যুক্ত। যোগ্য জামাই এখন যোগ দিয়েছে লস্করে, শ্বশুরের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নানা ভারত বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

এছাড়া পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কর যে সব জঙ্গি ঘাঁটি চালায়, সেগুলোর দায়িত্বে থাকা জঙ্গি আবু কিতাল পামপোর কাণ্ডে যুক্ত দুই জঙ্গিকে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করে। আর এ দেশে তাদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করে আবু দুনাজা। পামপোরের ঘটনায় যুক্ত জঙ্গিদের কাছ থেকে যে সব আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে, সেগুলোয় পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির ছাপ রয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকা ওষুধপত্র, পরনের ট্র্যাকশ্যুট ও জুতোও পাকিস্তানের। গ্রেনেডের ওপর থেকে ওই ছাপ মুছে ফেলার চেষ্টা করলেও জঙ্গিরা তাতে সফল হয়নি বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।