নয়াদিল্লি: প্রথম ফাঁসি দেখা ও হাতে কলমে শেখা, তখন পবন জল্লাদের বয়স ছিল মাত্র ২৩। দাদু কালুরামই হলেন তাঁর শিক্ষাগুরু। ১৯৮৮ সালে পাতিয়ালা জেলে দুই দোষীকে ফাঁসি দিয়েছিলেন কালুরাম। তখন দাদুর সহযোগী ছিলেন এই পবন। হাতেখড়ির পর পেশাদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে মেরঠের এই ফাঁসুরের সময় লাগল আরও ৩১ বছর। ৫৪ বছর বয়সে ফাঁসিতে অভিষেক হল পবন জল্লাদের।


জানুন : কেমন ছিল ফাঁসির আগে তিহাড় জেলে কাটানো নির্ভয়াকাণ্ডের চার দণ্ডিতের শেষ প্রহর?


দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের ৪ দোষী মুকেশ (৩২), পবন (২৫), অক্ষয় (৩১) ও বিনয়কে (২৬) শুক্রবার সকাল সাড়ে ৫টায় ফাঁসি দিলেন পবন জল্লাদ। তিহার জেল সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতিটি ফাঁসির জন্য সরকার এই ফাঁসুরেকে ২০ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেবে।


প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের মেরঠের জেলে কর্মরত ফাঁসুরে পবনের বেতন ৩ হাজার টাকা। সে টাকা পেতেও জুতোর সুখতলা খয়েছে তাঁর। ফাঁসুরে পবন সরকারের কাছে বেতন বৃদ্ধিরও আর্জি জানিয়েছিলেন। তবে তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি।


ফিরে দেখা : ইন্দিরা গাঁধীর হত্যাকারী থেকে আফজল গুরু- তিহাড়ে ফাঁসি হয়েছে যাদের


তবে দিল্লি নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য মেরঠ থেকে পবনকে তিহারে নিয়ে আসার পর থেকেই তিনি সংবাদ শিরোনামে। মঙ্গলবার তাঁকে মেরঠ থেকে তিহারে নিয়ে আসা হয়। তারপরই পবন ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু করেন। পেশাদার হিসেবে এই প্রথম ফাঁসি দিলেন তিনি। ভারতে এই প্রথম চার দোষীকে ফাঁসি দেওয়া হল, যা আগে কখনও হয়নি। আর এই ফাঁসি কার্যকর করলেন পবন জল্লাদ।