মেহসানা: ২০১৫ সালে গুজরাতের মেহসানা জেলার বিশনগর শহরে অশান্তির ঘটনায় পাতিদার সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল এবং তাঁর দুই সঙ্গী লালজি পটেল ও এ কে পটেলকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নিসংযোগ, সম্পত্তির ক্ষতি করা এবং অবৈধ জমায়েতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনজনেরই দু’বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানা হয়েছে। যদিও হার্দিকরা জামিন পেয়েছেন। এই মামলাতেই প্রমাণের অভাবে ১৪ জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।


জামিন পেয়েই বিজেপি-র উদ্দেশে তোপ দেগেছেন হার্দিক। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি-র হিটলারশাহী সত্য, কৃষক, যুবসমাজ ও গরিব মানুষের জন্য আমার লড়াই থামাতে পারবে না।’ ২৫ বছর বয়সি এই পাতিদার নেতার ট্যুইট, ‘আমি জেলে যেতে ভয় পাই না। এটা যদি আমার একার লড়াই হত, তাহলে বাড়িতে বসে থাকা উচিত ছিল। এটা কোটি কোটি গরিব মানুষের লড়াই। আমি শোষিতদের অধিকারের জন্য লড়াই করছি। আমার উপর যত জুলুম হবে, ততই আমি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেব।’

২০১৫ সালের ২৩ জুলাই সংরক্ষণের দাবিতে পটেল সম্প্রদায়ের একটি মিছিল থেকে অশান্তি ছড়ায়। বিক্ষোভকারীরা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক ঋষিকেশ পটেলের দফতরে ভাঙচুর চালানো হয়। সাংবাদিকরাও আক্রান্ত হন। সেই ঘটনাতেই হার্দিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়।

আজ বিচারপতি ভি পি অগ্রবাল সাজা ঘোষণার পর বলেন, যে জরিমানা আদায় করা হয়েছে, তার মধ্যে থেকে ১০,০০০ টাকা দিতে হবে আক্রান্ত সাংবাদিক সুরেশ ভানলকে। এছাড়া যে গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটির মালিককে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঋষিকেশকেও ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪০,০০০ টাকা দিতে হবে।