নয়াদিল্লি: গুজরাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পতিদার আনামত আন্দোলন সমিতির নেতা হার্দিক পটেলের সঙ্গে কংগ্রেসের বোঝাপড়ার তীব্র সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর দাবি, ‘কংগ্রেস ও হার্দিকের পারস্পরিক প্রতারণা চলছে। সংরক্ষণের বিষয়ে আইন স্পষ্ট করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু তারপরেও নিয়ম লঙ্ঘন করে সংরক্ষণের কথা বলে কংগ্রেস ও হার্দিক পরস্পরের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। যে প্রতিশ্রুতি পালন করা যাবে, নির্বাচনে সেই প্রতিশ্রুতিই দেওয়া উচিত। না হলে ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়।’

হার্দিক জানিয়েছেন, পতিদারদের সংরক্ষণের দাবি মেনে নিয়েছে কংগ্রেস। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ক্ষমতায় আসার পর ৫০ শতাংশের বাইরেও সংরক্ষণ দেওয়া হবে। সংবিধানের ৩১ ও ৪৬ ধারায় পতিদার সংরক্ষণের জন্য বিধানসভায় বিল পেশ করবে তারা। হার্দিক আরও বলেছেন, গুজরাতে বিজেপি-র বিরুদ্ধেই তাঁদের লড়াই। সেই কারণে তাঁরা সংরক্ষণের দাবি মেনে নেওয়া কংগ্রেসকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করবেন।

সম্প্রতি রাজস্থান সরকারকে ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুমতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও হার্দিকের দাবি, ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা সংবিধানে বলা নেই। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর স্থির বিশ্বাস, ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যাবে। হার্দিকের আরও দাবি, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। বিজেপি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে পতিদার নেতাদের দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।