গাঁধীনগর: গুজরাতের ক্ষমতা দখল হলেও মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির কপালের ভাঁজ কমল না। শোনা যাচ্ছে, উপ মুখ্যমন্ত্রী নীতিন পটেল তাঁর ওপর বেজায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন। ক্ষোভ এতটাই, যে গাঁধীনগরে নিজের সচিবালয়েও আসেননি তিনি।


এই পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টায় রয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সহযোগী পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল মন্তব্য করেছেন, নীতিনের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। তাঁর মতো প্রবীণ রাজনীতিবিদকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। ২৭ বছর ধরে বিজেপি-র জন্য কঠোর পরিশ্রমের পরেও তাঁকে প্রাপ্য সম্মান জানানো হয়নি। তিনি ১০ জন বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেসে চলে আসুন, তাঁকে সম্মানের সঙ্গে পুনর্বাসন দেওয়া হবে।

গত সরকারে নীতিনের  হাতে অর্থ, নগরোন্নয়ন ও পেট্রোলিয়ামের মত গুরুত্বপূর্ণ দফতর ছিল। এবার তিনটিই তাঁর হাত থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্থ দফতর দেওয়া হয়েছে তাঁর জুনিয়র সৌরভ পটেলকে, অন্য দুটি দফতর রূপানি নিজের কাছে রেখেছেন।

নীতিন এবারেও অর্থ ও নগরোন্নয়ন দফতর নিজের হাতে রাখতে চেয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, নয়া সরকারে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে তাঁকে। এ ব্যাপারে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন তিনি। তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ২ দিনের মধ্যে সমস্যা মেটানো হবে। আত্মমর্যাদায় আঘাত লাগলে মন্ত্রিসভা ছাড়বেন বলেও নীতিন নাকি জানিয়েছেন।

এই পরিপ্রেক্ষিতে হার্দিকের মন্তব্য, ‘আমি নীতিনভাইকে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা একসঙ্গে বিজেপি-র উদ্ধত নেতাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমরা গুজরাতে সুশাসন নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। নীতিনভাই যদি বলেন, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করতে রাজি এবং আরও ১০ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেন, তাহলে আমরা তাঁকে সমর্থন করব। আমি গুজরাতে সুশাসনের স্বার্থে নীতিনভাইকে প্রাপ্য পদ দেওয়ার জন্য কংগ্রেসকে অনুরোধ করব।’

হার্দিক আরও বলেছেন, তিনি গতকালই নীতিনকে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর পাশে আছেন। পাতিদারদের সংরক্ষণের দাবি এবং রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে তাঁদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।