দেহরাদুন: অরুণাচলের পর এবার চিনা সেনার অনুপ্রবেশ উত্তরাখণ্ডেও। রাজ্যের চামোলি জেলায় চিনা সেনার ঢুকে পড়ার খবর সত্যি বলে জানালেন পার্বত্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। মিডিয়ার লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, খবরটা সঠিক। পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। এতদিন আমাদের সীমান্ত এলাকা শান্ত, সুরক্ষিতই ছিল। আমরা এবার নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি।


আমাদের রাজস্ব দফতরের অফিসাররা চামোলিতে জমি জরিপ করতে গিয়েছিলেন। তখনই চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশের বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে, জানিয়েছেন রাওয়াত। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারী চিনা জওয়ানরা ওখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ খালের ক্ষতি করেনি, এটাই সৌভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি, কেন্দ্রের সরকার বিষয়টিতে নজর দেবে, ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে, ইন্দো-টিবেটান সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) গত ১৯ জুন, অর্থাত চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশের দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে একটি রিপোর্ট দিয়েছে।

এদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব তথা বিজেপি সাংসদ আর কে সিংহ বলেছেন, ওখানে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) স্পষ্ট করে চিহ্নিত করা নেই। আমরা ওই রেখা ঠিকমতো খুঁজে উল্লেখ করতে চাই। কিন্তু চিন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে না।

যদিও গত এপ্রিলে লোকসভায় এক লিখিত উত্তরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রিকর জানান, ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের কোনও নজির নেই। তাঁর বক্তব্য, ভারত ও চিনের মধ্যে পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে কোনও নিয়ন্ত্রণরেখা নেই। লাদাখের বেশ কিছু অঞ্চল সহ সীমান্ত বরাবার এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে নিয়ন্ত্রণরেখা সম্পর্কে ভারত ও চিনের ধারণা এক নয়। ভিন্ন ধারণা পোষণ করে দু দেশ। ফলে মাঝেমধ্যেই পরস্পরের এলাকায় আচমকা ঢুকে পড়ে ভারত, চিনের সেনাবাহিনী।