দুই সংস্থার মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, হিরো মোটোকর্প এবার থেকে হার্লে-ডেভিডসন ব্র্যান্ড নামের অধীনে ভারতে মোটরসাইকেল তৈরি ও বিক্রির বিষয়টি দেখবে। ৩০০ থেকে ৬০০ সিসির মধ্যে একটি প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল তৈরির বিষয়েও হিরোকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যা আমেরিকার বিখ্যাত ব্র্যান্ড পরে প্রকাশ্যে আনবে।
২০০৯ সালে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ভারতের মাটিতে পা রেখেছিল হার্লে-ডেভিডসন। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের মন জয়ের ক্ষেত্রে সেভাবে সফল হতে পারেনি তারা। গত দশ বছরে ভারতের বাজারে বিক্রি হয়েছে মাত্র ২৭ হাজার ইউনিট। প্রিমিয়াম বাইক সেগমেন্টে যেখানে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ভারতের বাজারে এক নম্বর রয়্যাল এনফিল্ড সংস্থা এক মাসেই যে সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ বাইক বিক্রি করে থাকে।
ভারতে ব্যবসা গোটানোর আগে বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে মাত্র ১০০টি হার্লে-ডেভিডসন বিক্রি হয়েছিল। বিক্রি নিয়ে চলতে থাকা সমস্যাগুলোর মাঝেই আবার লকডাউনের প্রবল ধাক্কায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই ভারত থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছিল তারা।
ভারতের মোটরসাইকেল বাজারে সর্বাধিক বিক্রিত হিরো মোটোকর্পের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তাই এবার নতুন রুপে বাজার ধরার লক্ষ্যে প্রত্যাবর্তন ঘটাচ্ছে তারা। কিছু মাস আগেই জার্মানির বিখ্যাত অটোমোবাইল সংস্থা বিএমডবলিউ-র সঙ্গে চুক্তি করে ভারতের বাজারের জন্য বিশেষ প্রিমিয়াম বাইক বাজারে এনেছে টিভিএস মোটর্স।