চণ্ডীগড়: সাংসদ বা বিধায়কের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের সময় উঠে দাঁড়াতে হবে আমলা ও সরকারি আধিকারিকদের। হরিয়ানা সরকারের এই বিধি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
সম্প্রতি, হরিয়ানার মুখ্যসচিব দীপেন্দর সিংহ ধেসি একটি নির্দেশিকা জারি করে সরকারি আধিকারিক ও আমলাদের উদ্দেশ্যে জানান, সাংসদ বা বিধায়কদের সঙ্গে দেখা হলে তাঁরা যেন উঠে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান।
এই নির্দেশিকা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই নির্দেশিকার তীব্র সমালোচনা করেছে। তাঁদের দাবি, খামখেয়ালীভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হরিয়ানা প্রশাসনের এই নির্দেশিকা এমন একটা সময় জারি করা হল, যখন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি সরকারের সঙ্গে দিল্লি প্রশাসনে কর্মরত আমলাদের সংঘাত চরম আকার নিয়েছে।
এমন নয় যে এই প্রথম হরিয়ানা সরকারের জারি করা কোনও নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হল। এর আগে, এক নির্দেশে ক্রীড়াবিদদের বলা হয়েছিলে আয়ের ৩৩ শতাংশ রাজ্য সরকারকে দিতে। সেই সময় ওই নির্দেশ ঘিরে বিস্তর জলঘোলা হয়। অবশেষে মনোহর লাল খট্টর সরকার তা স্থগিত করে।
তবে, হরিয়ানা সরকারের এই নির্দেশিকা আদতে কেন্দ্রের-ই অনুরূপ নির্দেশিকার ফলো-আপ মাত্র। গত ৭ ফেব্রুয়ারি, কেন্দ্রের কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরের তরফে সব রাজ্যকে দেওয়া এর নির্দেশে বলা হয়, আমলাদের ব্যবহার সংক্রান্ত কিছু বিধি কঠোরভাবে কার্যকর করতে।
সূত্রের খবর, এই নতুন বিধি নেওয়ার নেপথ্য হল কেন্দ্রের কাছে দায়ের হওয়া এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ। লোকসভার একাধিক সাংসদ অভিযোগে জানান, তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রোটোকল লঙ্ঘন করছেন একাধিক সরকারি আধিকারিক ও আমলা।