চন্ডীগড়: ১২ বা তার কমবয়সের মেয়েকে ধর্ষণে দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিতে আইন আনবে হরিয়ানা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টার আজ কার্নালে এক অনুষ্ঠানে এও জানান, নির্যাতিতা যাতে দ্রুত সুবিচার পান, সেজন্য রাজ্য সরকার ধর্ষণ মামলার বিচারের জন্য ফাস্ট ট্রাক গঠনের আবেদন জানাবে। ইদানিং বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় বেশ কয়েকটি ধর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে উষ্মা, উদ্বেগ প্রকাশ করে খট্টার বলেন, পুলিশ আইনানুগ পথে এ ধরনের ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করলেও ধর্ষণে আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১২ বা তার নীচে কোনও মেয়েকে ধর্ষণে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য শীঘ্রি আইন আসছে।
যদিও ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষাপটে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য পুলিশবাহিনীর নিন্দা, তিরস্কারের বদলে তিনি মিডিয়াকে দোষ দেন। বলেন, মিডিয়ায় ধর্ষণের ঘটনাগুলি অতিরঞ্জিত করে চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে। মিডিয়াকে আবেদন করব, ধর্ষণের ব্যাপারে সত্যাসত্য খতিয়ে না দেখে রিপোর্ট ছাপবেন না। পরিসংখ্যানে প্রকাশ, গত বছর থানায় জমা পড়া ধর্ষণের অভিযোগের ২৫ শতাংশই ছিল মিথ্যা। আগে বারংবার আাবেদন করা সত্ত্বেও এফআইআর দায়ের করতে গিয়ে বিরাট বাধার মুখে পড়তে হত অভিযোগকারিণীকে। কিন্তু এখন পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না, এফআইআর দায়ের করছে না, একজনও কেউ বলতে পারবে না।
তিনি এও জানান, সাধারণত দেখা গিয়েছে, ৭৫ শতাংশ ধর্ষণেই অপরাধী নির্যাতিতার নিকটাত্মীয়, চেনা লোক।
সম্প্রতি হরিয়ানা উত্তাল হয় নাবালিকা ধর্ষণ, খুনের ঘটনায়। তা নিয়ে চারদিন চুপ করে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ তিনি সওয়াল করেন, পুলিশের পাশাপাশি ধর্ষণের মতো বিকৃত মানসিকতা মোকাবিলায় এগিয়ে এসে সচেতনতা ছড়ানোর দায়িত্ব সমাজেরও।