চেন্নাই: জয়ললিতার মৃত্যুর পর দলের নেতৃত্বভার নিয়ে ঝামেলার জেরে ভাগ হয়ে যায় দুপক্ষ। দুর্নীতির জেরে শশীকলা নটরাজনের জেল হলেও পনীরসেলভম শিবির কিন্তু ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বরং জেল থেকেই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেন শশীকলা। দুপক্ষই দলের দুটি পাতা প্রতীক দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেও কেউ তা পায়নি। অবশেষে পরিস্থিতির চাপে বরফ গলেছে। দুই শিবির ঠিক করেছে, আবার এক সঙ্গে মিশে যাবে তারা।


গতকাল রাতে চেন্নাইয়ে বৈঠকে বসেন অন্তত ২৫জন এডিএমকে নেতা। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে ঠিক হয়, পনীরসেলভম ও শশীকলা শিবির ফের এক সঙ্গে মিশে যাবে। যদিও বৈঠকে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী। সম্ভবত আজই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

পরে মন্ত্রী ডি জয়াকুমার বলেন, দলের ১২৩ জন বিধায়ক ও মন্ত্রীরা চান, জয়ললিতার শাসনই বজায় থাকুক, তাই এক সঙ্গে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আলাদা শিবির না থাকলে সংঘবদ্ধ দলের দুটি পাতা নির্বাচনী প্রতীক ফিরে পেতেও সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

শশীকলার ভাইপো দীনকরণ এর মধ্যে বেঙ্গালুরু জেলে গিয়ে এ ব্যাপারে পিসির মত চাওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতি জোগাড় করেছেন।

এর আগে ও পনীরসেলভম প্রকাশ্যে জানান, দলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁরা ফের একসঙ্গে চলার পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী এ নিয়ে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। লোকসভার সহাধ্যক্ষ এম থাম্বিদুরাই জানান, ফের হাত মেলানোর জন্য পনীর শিবিরের সঙ্গে আলোচনায় রাজি শশীকলা শিবির।