মু্ম্বই: ধর্ষণের জেরে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়া ১৪ বছরের কিশোরীকে ২৪ সপ্তাহের গর্ভ নষ্ট করে ফেলার অনুমতি দিল বম্বে হাইকোর্ট। ডিসেম্বরে ২২ সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল সে। ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, মুম্বইয়ের সরকার পরিচালিত জে জে হাসপাতালের ডাক্তারদের প্যানেল মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখে রিপোর্ট দিয়ে বলুক, এই অবস্থায় তার গর্ভপাত করা সমীচীন হবে কিনা। বৃহস্পতিবার সেই ডাক্তারদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে হাইকোর্টের বেঞ্চ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেয়েটির গর্ভপাত করা যেতে পারে। বেঞ্চের দুই সদস্য, বিচারপতি বি পি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি রেবতী মোহিতে-দেরে রায়ে বলেছেন, মেয়েটি ধর্ষণের ফলেই গর্ভবতী হয়েছে, ফলে এহেন অবাঞ্ছিত মাতৃত্বে তার ভিতরে যে ক্রোধ, অশান্তি ঘনিয়ে উঠেছে, তাতে তার মানসিক স্বাস্থ্যের বিরাট ক্ষতি হতে পারে। দেশের বর্তমান গর্ভপাত সংক্রান্ত আইনে গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ। যদিও আইনে এমন সংস্থান আছে যে, এই অনুমোদিত মেয়াদ পেরনোর পর গর্ভপাতের আবেদন এলে তা কমিটি গড়ে খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার সেই কমিটি গঠন করে না বলে অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ষিতাদের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে সরাসরি হাইকোর্টে আবেদন করতে হয়। এক্ষেত্রে নির্যাতিতা কিশোরী গত ১ ডিসেম্বর শহরতলির মানখুর্দ থানায় নালিশ জানায় যে, তাকে প্রতিবেশী এক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে। পরে অভিযু্ক্ত ভারতীয় দণ্ডবিধি ও শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা সংক্রান্ত পকসো আইনে গ্রেফতার হয়।