মুম্বই: ৩১ তলা আদর্শ অ্যাপার্টমেন্ট ভেঙে দিতে বলল বম্বে হাইকোর্ট। মুম্বইয়ের বুকে এই আবাসন ঘিরে কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। বেআইনিভাবে ওই আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে আদালত তীব্র সমালোচনা করেছে মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ,আমলাদের। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি প্রক্রিয়া শুরুর কথা বলেছে আদালত। কারগিলের যুদ্ধে শহিদ পরিবারগুলির জন্য তৈরি হওয়া আবাসনের ফ্ল্যাট প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে দখল করেছেন রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, আমলারা-এমন অভিযোগ ওঠায় ২০১০ সালে তৈরি হওয়ার পর আদর্শ হাউসিং হয়ে ওঠে দুর্নীতির প্রতীক। অভিযোগে নাম জড়ানোয় ইস্তফা দিতে হয় মহারাষ্ট্রের সে সময়কার মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বানকে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় চহ্বানের বিচার করতে অনুমতি দেন সিবিআইকে।
এদিন বিচারপতি আর ভি মোরে, বিচারপতি আর জি কেতকারকে নিয়ে গঠিত বম্বে হাইকোর্টের বেঞ্চ আদর্শ সোসাইটির পেশ করা একগুচ্ছ পিটিশনের ওপর রায় ঘোষণা করে আদর্শ আবাসন ভেঙে দিতে বলে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রক আগেই সেটি ভেঙে দিতে বলেছিল। পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রকও নথি পেশ করে দাবি করে, যে জমিতে ওই বহুতল তৈরি হয়েছে, সেটির মালিকানা তাদেরই। এর বিরুদ্ধেই পিটিশন দেয় আদর্শ সোসাইটি।
তবে শেষ পর্যন্ত আদর্শ সোসাইটির পেশ করা আর্জি মেনে বহুতল ভেঙে দেওয়ার নির্দেশে ১২ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিসন বেঞ্চ। যাতে সোসাইটি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে পারে, সেই সুযোগ করে দিতেই স্থগিতাদেশ।