মাদুরাই: তিন শিক্ষেকের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এক ছাত্রীকে প্ররোচিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা দায়ের করার অপরাধে এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে প্রায় আড়াই হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ‘আগাছা’ ওপড়ানোর সাজা দিল আদালত।


খবরে প্রকাশ, রামনাথপুরম জেলার এসএসএএম সরকারি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের তিন শিক্ষক সেখানকার পঠনপাঠনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। এর বদলা হিসবে প্রধান শিক্ষিকা প্রেমা এক ছাত্রীকে দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করান।


ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন শিক্ষককে বদলি করা হয়। এর বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা করেন ওই তিন শিক্ষক। মাদুরাই বেঞ্চে রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুনানি হয়। সেখানে বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন জানতে পারেন যে, তিনজনকে বদলি করার জন্য ছাত্রীকে ব্যবহার করে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর কুচক্র করেন প্রেমা।


রায় দিতে গিয়ে আদালত বলে, একজন শিক্ষক আর ভাস্করের কাজ একইপ্রকার। ভাস্কর যেমন একটা পাথরকে খোদাই করে মূর্তি গড়ে তোলে, ঠিক তেমন শিক্ষকের কাজ পড়ুয়াদের ভাল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। অথচ, এক্ষেত্রে প্রধানশিক্ষিকার অনৈতিক কাজে তিন শিক্ষক নিজেদের সুনাম হারিয়েছেন।


এরপরই, প্রেমাকে শাস্তিস্বরূপ ২,৪০০ বর্গফুট এলাকায় প্রোসোপিস জুলিফ্লোরা (হিন্দিতে বিলিতি বাবুল) গাছ উপড়ানোর নির্দেশ দেন বিচারক। পাশাপাশি, তাঁকে অন্যত্র বদলি করারও নির্দেশ দেয় আদালত।