নয়াদিল্লি: দিল্লি হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল হনিপ্রীত ইনসানের ট্রানজিট আগাম জামিনের আবেদন। এদিন প্রথমে হনিপ্রীতের আবেদনের ওপর রায়দান স্থগিত রেখে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলে দিল্লি হাইকোর্ট।


ধর্ষণ মামলায় দোষী ২০ বছরের কারাবাসের সাজা পাওয়া ডেরা সাচা সৌদা প্রধান বাবা গুরমিত রাম রহিমের দত্তক নেওয়া মেয়ে হনিপ্রীত, দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিশ, এই তিন পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সঙ্গীতা ধিংড়া সেহগল রায়দান আপাতত স্থগিত রাখেন। তিনি হানিপ্রীতের উদ্দেশ্যে বলেন, ধরা দিন, সেটাই হবে পরিত্রাণ পাওয়ার সহজতম রাস্তা।

পরে বিচারপতি জানান, গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হনিপ্রীত। তাই অব্যাহতি পেতে পারেন না। টালবাহানা করে সময় নষ্ট করার জন্যই হনিপ্রীত দিল্লিতে জামিনের আবেদন করেছেন, হরিয়ানার পাঁচকুলা আদালতে চলতি প্রক্রিয়ায় দেরি করিয়ে দেওয়া উদ্দেশ্য তাঁর।

দুটি ধর্ষণ মামলায় রাম রহিমের দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা ঘোষণার পর থেকেই বেপাত্তা হনিপ্রীত। তাঁর বিরুদ্ধে ডেরা প্রধান দোষী ঘোষিত হওয়ার পর হরিয়ানায় হিংসা, অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রদোহিতার মামলা রয়েছে।

হরিয়ানা পুলিশ সেদিনের হিংসার ব্যাপারে ৪৩ জনের ওয়ান্টেড লোকজনের যে তালিকা দিয়েছিল, তাতে সবার ওপর রয়েছে প্রিয়ঙ্কা তানেজা ওরফে হনিপ্রীতের নাম।

রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় তদন্তের ব্যাপারে তাঁকে ট্রানজিটে দিল্লি থেকে হরিয়ানা নিয়ে যাওয়ার সময় যাতে গ্রেফতার করা না হয়, সেজন্যই ট্রানজিট আগাম জামিনের আবেদন করেছেন হনিপ্রীত।

এদিন শুনানি পর্বে হরিয়ানা পুলিশ হনিপ্রীতের আবেদনের প্রবল বিরোধিতা করে বলে, এটা 'ফোরাম শপিং করার ছল'! দিল্লি হাইকোর্টে না এসে তাঁর বরং পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে যাওয়া উচিত ছিল বলেও অভিমত জানায় তারা। বিষয়টি নিষ্পত্তির আসল এক্তিয়ার হরিয়ানার আদালতের, এই যুক্তি দেখিয়ে হনিপ্রীতের তিন সপ্তাহের আগাম জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে দিল্লি পুলিশ।

হরিয়ানার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

তবে হনিপ্রীতের আইনজীবী সওয়াল করেন, হরিয়ানার তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে, সেজন্যই তিনি পাশের রাজ্যে আবেদন করা পর্যন্ত গ্রেফতারি এড়াতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত হলে হনিপ্রীত তদন্তে সামিল হবেন বলেও জানান ওই আইনজীবী।