লখনউ: গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতালে দফায় দফায় শিশুমৃত্যুর ব্যাপারে জনস্বার্থ পিটিশন দায়ের হওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ সরকার ও রাজ্যের মেডিকেল এডুকেশন সংক্রান্ত ডিরেক্টর জেনারেলের বিস্তারিত পাল্টা হলফনামা চাইল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ। তারা এজন্য ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছে।


৯ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছে আদালত।

জনস্বার্থ পিটিশনটি দিয়েছেন জনৈক সমাজকর্মী নূতন ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের এপর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপে এটাই স্পষ্ট, তারা শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সত্য আড়াল করে দোষীদের বাঁচাতেই ব্যস্ত।

বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি দয়াশঙ্কর তেওয়ারির বেঞ্চ সমাজকর্মী পাশাপাশি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিংহ, মেডিকেল এডুকেশনের কৌঁসুলি সঞ্জয় ভাসিনের বক্তব্যও শোনে।

অ্যাডভোকেট জেনারেল জনস্বার্থ পিটিশনের বিরোধিতা করে বলেন, রাজ্য সরকার যা যা করা সম্ভব, সব করেছে, মুখ্যসচিবের পেশ করা রিপোর্টের বয়ানমতো তার পক্ষে করা সম্ভব, এমন সব পদক্ষেপই করবে।
৭ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে এনসেফালাইটিস সমেত নানা কারণে ৭১টি বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে।

বিরোধীরা সহ বেশ কিছু শিশুর বাবা-মায়ের দাবি, প্রয়োজনের সময় হাসপাতালে অক্সিজেন মেলেনি, তার ফলেই মারা গিয়েছে ওরা। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।