নয়াদিল্লি: এক বছর আগে মেহুল চোকসিকে আইনি রক্ষাকবচ প্রদান করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। এবার, পিএনবি-কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল উচ্চ আদালত।


২০১৬ সালে গীতাঞ্জলী জেমস কর্ণধারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্য একটি মামলায় গত বছর ২৬ এপ্রিল ওই রক্ষাকবচ দিয়েছিল আদালত। এদিন, পিএনবি-মামলার শুনানিতে পুলিশ দাবি করে, তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না চোকসি। চোকসি যতগুলি ঠিকানা দিয়েছেন, সেখানে তাঁর দেখা মিলছে না। পুলিশ অনুরোধ করে, এই পরিস্থিতিতে চোকসিকে দেওয়া আইনি রক্ষাকবচ নিয়ে যেন আদালত পুনর্বিবেচনা করে।


এরপরই, বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত পূর্ববর্তী নির্দেশ প্রত্যাহারের রায় দেন। প্রসঙ্গত, সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার পিএনবি-প্রতারণা মামলার মূল অভিযুক্ত তথা হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর সম্পর্কে মামা হন চোকসি। তিনিও এই বিশাল প্রতারণা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত।


এদিকে, গীতাঞ্জলি জেমসের গয়না-রত্নের সম্ভার ক্রোক করা হয়েছে বলে দিল্লি হাইকোর্টে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনের আওতায় থাকা অপরাধের মাধ্যমে যে লাভ হয়েছে, তাকে নিজের হিরে-জহরত, বুলিয়ন ব্যবসায় ঢুকিয়ে দেন মেহুল চোকসি, যাতে তা স্বচ্ছ, বৈধ সম্পদ হিসেবে দেখানো যায়।