নয়াদিল্লি ও জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডের আঁচ এবার রাজ্যসভায়। বৃহস্পতিবার, জিরো আওয়ারে এ প্রসঙ্গ তোলেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সাংসদ রজনী পাটিল। নাম না করে নিশানা করেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে।
কংগ্রেস সাংসদ সরাসরি তাঁর নাম না করলেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর একেবারে ওয়েলে নেমে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তর্ক শুরু করে দেন রূপা। শেষমেশ, সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি গিয়ে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে ওয়েল থেকে নিয়ে আসেন।
জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে বিজেপি। কারণ শিশুপাচারচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডি গ্রেফতার করে তাদের দলের নেত্রী জুহি চৌধুরীকে। যিনি ছিলেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক। আর রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

রূপার সঙ্গে জুহির একাধিক ছবিও সামনে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে, জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে রাজনৈতিক যোগ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন ধৃত হোমের মালিক চন্দনা চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, জুহি চৌধুরী হয়তো রূপা গাঙ্গুলি আর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে কথা বলেছেন।
গত ৭ মার্চ, এই শিশুপাচারকাণ্ডের তদন্তে আসে কেন্দ্রীয় সংস্থা স্ন্ট্রাল অ্যাডপশান রিসোর্স অথরিটি বা কারার দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ এই সংস্থার প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, বারবার বলা সত্ত্বেও, তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়নি জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রিয়াঙ্ক কাঙ্গো বলেন, তদন্ত নিয়েও কিছু জানতে পারিনি...কিছু আধিকারিককে বাঁচানোর জন্য হয়ত রাজনৈতিক দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরেক সদস্য যশবন্ত জৈন জানিয়ে দেন, তদন্তের সহযোগিতা না পেলে আদালতে যাব।
যদিও, অসহযোগিতার এই অভিযোগ অস্বীকার করে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক রচনা ভগত পাল্টা দাবি করেন, নথি দেওয়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশ তাঁর কাছে নেই। এসবেরই মাঝে, এ দিন রাজ্যসভায় জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে নিশানা কংগ্রেসের।