বেঙ্গালুরু: কিছুদিন আগেই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাদ দিয়ে দিতে সংবিধান সংশোধনের কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত হেগড়ে। ওই মন্তব্য ঘিরে বিরোধীদের সমালোচনার রেশ কাটার আগেই ফের বিতর্কে হেগড়ে। বেল্লারিতে এক সভায় তিনি বলেন, 'আমরা খুবই একরোখা। রাস্তায় কুকুর ঘেউ ঘেউ করলে আমরা পরোয়া করি না'।
তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত শনিবার দলিত বিক্ষোভকারীরা হেগড়ের গাড়ি আটকান এবং গতমাসে তাঁর সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত মন্তব্যের বিরোধিতায় স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভ এড়িয়ে তিনি বেল্লারির সভায় পৌঁছে ওই মন্তব্য করেন।
বিরোধীরা তাঁর ওই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে। বিজেপির কট্টর সমালোচক অভিনেতা প্রকাশ রাজ হেগড়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি মন্ত্রী পদ থেকে হেগড়ের ইস্তফাও দাবি করেছেন। প্রকাশ রাজ ট্যুইট মারফত বলেন, 'যথেষ্ট হয়েছে..একের পর এক এ ধরনের গর্হিত মন্তব্য করে চলেছেন মন্ত্রী অনন্ত হেগড়ে..তাঁর সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় তিনি এবার দলিতদের কুকুর বলেছেন.. বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্বের উচিত, তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা'।
যদিও মন্ত্রী হেগড়ে কোনও দলিত-বিরোধী মন্তব্য করার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি এজন্য কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন। মন্ত্রী বলেছেন, 'আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। আমি দলিতদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনও মন্তব্যই করিনি। ওই মন্তব্যকে দলিতদের সঙ্গে জুড়ে কংগ্রেস ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে'।

মন্ত্রী আরও বলেছেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে কর্নাটকে হেগড়ে বলেছিলেন, প্রত্যেকের নিজের ধর্ম অনুযায়ী পরিচয় দেওয়া উচিত। যারা নিজেদের পৈতৃক পরিচয় জানে না, তারা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে, তাদের নিজস্ব কোনও পরিচয় নেই।
কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বলেন, বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি সংবিধান বদলে দিতে চলেছে। আর তাঁরা এ জন্যই ক্ষমতায় এসেছেন। মন্ত্রীর কথায় চরম বিতর্ক হয়। শেষ পর্যন্ত সংসদে ক্ষমাও চান হেগড়ে।