এমনই আতঙ্ক ছড়িয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক দুরবস্থার কারণে কুখ্যাত উত্তরপ্রদেশের সরকারি বিভাগগুলির অন্দরে অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নামে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন বরিষ্ঠ মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা। তাতে বলা হয়েছে, সকাল নটা থেকে ছটার মধ্যে যে কোনও মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী অফিসের ল্যান্ডলাইনে ফোন করতে পারেন পদস্থ আমলাদের। ফোন বেজে গেলে কপালে দুঃখ আছে। যদি তাঁরা প্রমাণ করতে সক্ষম হন, অফিসের কাজেই ফিল্ডে ছিলেন, তাহলে ঠিক আছে। আর যদি তা না হয়, ধার্য হবে জরিমানা।
তবে আইপিএস অফিসারদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় রয়েছে যেহেতু তাঁদের অনেক সময়েই অফিসের কাজে বাইরে থাকতে হয়। কিন্তু প্রশাসনিক আধিকারিকদের পক্ষে বিষয়টা অত সহজ নয়, কারণ মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি হল, কর্তারা অফিসে থাকলে তবে না তাঁদের দেখে জুনিয়ররা শিখবেন। আর বাড়িতে অফিস বসানো পুরোপুরি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মার্চে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন গেরুয়াধারী সন্ন্যাসী যোগী আদিত্যনাথ। প্রথমেই তিনি ঘোষণা করেন, যে সরকারি আধিকারিকদের ১৮-২০ ঘণ্টা কাজে অসুবিধে আছে, অন্য পেশা বেছে নিতে পারেন তাঁরা। যখন তখন যে কোনও বিভাগে এসে উপস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তিনি। ১৫টা সরকারি ছুটি বাতিল করেছেন।