মথুরা: মথুরায় উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে জবরদখলকারীদের সংঘর্ষে ২৪ জনের মৃত্যুর জন্য অখিলেশ যাদব সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন হেমা মালিনী। তাঁর দাবি, উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাজ্য সরকারের উচিত এ বিষয়ে নজর দেওয়া।

 

বৃহস্পতিবারের হিংসাত্মক ঘটনার পর ট্যুইটারে নিজের সিনেমার শ্যুটিংয়ের ছবি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন হেমা। সেই সমালোচনার জবাবে তিনি বলেছেন, শ্যুটিং বাতিল করে শুক্রবার রাতে মথুরায় পৌঁছে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের ঘটনার আগে ১০ দিন তিনি এখানে ছিলেন। চলে যাওয়ার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর অন্য কাজও রয়েছে। যখনই প্রয়োজন হবে তিনি আসবেন।

 

শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে চেয়েছিলেন হেমা। কিন্তু বিজেপি-র অভিনেত্রী-সাংসদের এই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই জায়গা এখনও নিরাপদ নয়। নিরাপত্তারক্ষী এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করছেন। সেই কারণে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাংসদকেও যেতে দেওয়া হবে না। তাঁরা চান না হতাহতের সংখ্যা বাড়ুক।

 

জওহর পার্কে যেতে না পেরে হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন হেমা। তিনি পুলিশ সুপার মুকুল দ্বিবেদী এবং ফারাহ থানার স্টেশন হাউস অফিসার সন্তোষ যাদবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি সাংসদ বলেন, পরিস্থিতি ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এত জনের মৃত্যু এড়ানো যেত। পুলিশ জবরদখল তুলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার অনুমতি দেয়নি। সরকারের মদতেই জবরদখলকারীরা দু বছর ধরে ওখানে ছিল।

 

হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর ভূমিকার সমালোচনা হওয়ায় ক্ষুব্ধ হেমা। তাঁর দাবি, গত দু বছরে তিনি মথুরায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। মথুরার মানুষ সেটা জানেন।