ভোপাল: গোয়ালিয়রের দপ্তরে মহাত্মা গাঁধীর ঘাতক নাথুরাম গডসের মূর্তি বসিয়ে পুজো করল হিন্দু মহাসভা। সংগঠনের সহ সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ জানান, গোয়ালিয়রের দৌলতগঞ্জে তাঁদের সংগঠনের কার্য্যালয়ে ৩২ ইঞ্চি দীর্ঘ গডসের মূ্র্তি স্থাপন করে তাতে 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' করা হয়েছে। পঞ্চামৃত 'প্রসাদ' হিসাবে বিলি করা হয়েছে ভক্তদের। আরতিও হয়েছে।
ফোনে তিনি পিটিআইকে জানান, ৯ নভেম্বর মহাসভা গডসের মন্দির নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। এবার মহাসভার নিজের দপ্তরেই মন্দির তৈরি হওয়ায় কারও আপত্তি তোলার জায়গাই রইল না, কারণ ওটা মহাসভার নিজস্ব সম্পত্তি। গডসে ওখানে এক সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। ভরদ্বাজ গডসেকে মহান জাতীয়তাবাদী, যিনি দেশ বিভাজনের বিরোধী ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। বলেন, গডসের চিতাভস্ম এখনও পুনেতে রাখা আছে। গডসের শেষ ইচ্ছা ছিল, সেই চিতাভস্ম একমাত্র অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার পরই যেন ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
গডসের ফাঁসি হয় ১৯৪৯-এ অম্বালা জেলে, আজকের দিনে।
কংগ্রেস মহাসভার গডসের মূর্তি প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধিতা করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু করার দাবি তুলেছে। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী নেতা অজয় সিংহ বলেন, এটা জাতির জনককে অপমানের চক্রান্ত। একদিকে মহাত্মার মূর্তি পোড়ানো হয়েছে মোরেনায়, অন্যদিকে গোয়ালিয়রে তাঁর হত্যাকারীর নামে মন্দির হল। শীর্ষ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের নাকের ডগায় বাপুর ঘাতকের মন্দির তৈরি হচ্ছে, আর উনি গাঁধীজীর নাম ব্যবহার করে অনশনে বসেছিলেন! এটা লজ্জার, নিন্দার।
বিজেপি অবশ্য পাল্টা বলেছে, মহাত্মা গাঁধীর ঐতিহ্য সারা দেশের, কংগ্রেস একাই কেন তার অধিকার দাবি করছে? মহাসভা আইন, সংবিধান ভেঙে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপির সওয়াল, তারা গাঁধীবাদী সমাজতন্ত্র ও গাঁধীর অর্থনৈতিক নীতিতে বিশ্বাস করে। মোদী সরকারই মহাত্মার ১৫০-তম জন্মবার্ষিকী পালনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি নিয়েছে।