নয়াদিল্লি:  অনন্তনাগের কোকেমাগ এলাকায় বুরহান ওয়ানি যে লুকিয়ে আছেই, তা নিয়ে গোয়েন্দাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য ছিল না। তাই শুক্রবার অন্যান্য দিনের মতই এক সেনা- জঙ্গি সংঘর্ষে তার খতম হয়ে যাওয়াটা তাঁরা বোনাস হিসেবে নিচ্ছেন। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে খবর ছিল কোকেমাগে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে কয়েকজন হিজবুল জঙ্গি। তাদের মধ্যে সরতাজ আহমেদ থাকতে পারে বলে জানা গেলেও বুরহানের ব্যাপারে তাঁরা জানতেন না। তাই তার মৃত্যু তাঁদের কাছে উপরি পাওনা।


গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই এনকাউন্টারে জখম হয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপের দুই জওয়ান। তাঁদের প্রশ্ন, বুরহানকে যদি ‘বিচারবহির্ভূতভাবেই’ হত্যা করা হয়ে থাকে, তবে এই জওয়ানরা আহত হলেন কী করে।

বুরহানের মৃত্যুর জেরে উপত্যকায় অশান্তি ঘনিয়ে ওঠা নিয়ে রবিবার পর্যালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তাঁর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ আমলারা, ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরাও। কীভাবে উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা যেতে পারে, তা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনাথ পরামর্শ দিয়েছেন, বিক্ষুব্ধদের মুখোমুখি হওয়ার সময় সংযম বজায় রাখতে, তবে একইসঙ্গে দেখতে, পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে চলে না যায়। অমরনাথ যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়েছে, অশান্তির হাত থেকে উপত্যকার কাশ্মীরী পণ্ডিতদের কীভাবে বাঁচানো যায়, কথা হয়েছে তা নিয়েও।

তবে গোয়েন্দা অফিসাররা মনে করছেন, বুরহানের মৃত্যুর পর উপত্যকায় জঙ্গিয়ানা বাড়বে বলে যাঁরা মনে করছেন, তাঁদের ধারণা ভুল। বুরহান ওয়ানি নিয়ে এই মাতামাতি শিগগিরই কমে যাবে। ভবিষ্যতে রাজ্য- কেন্দ্র উভয়কেই চেষ্টা করতে হবে, কাশ্মীরী তরুণদের সন্ত্রাসবাদের ছায়া থেকে সরিয়ে আনতে। তরুণদের যুক্ত করার জন্য নানা প্রকল্পের কথা ভাবা হচ্ছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।