নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদির কুম্ভস্নানকে কটাক্ষ মায়াবতীর। রবিবার প্রয়াগরাজে সঙ্গমে পবিত্র স্নান করে গোরক্ষপুরে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি কুম্ভ মেলা দর্শনে গিয়ে প্রার্থনা করেন, পুজো দেন। ট্যুইট করে বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) নেত্রী পাল্টা বলেছেন, সঙ্গমে ডুব দিয়ে ‘শাহী’ স্নান করে কি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন, বিশ্বাসভঙ্গ, আরও সব ভুলের পাপ ধুয়ে ফেলতে পারবেন কি প্রধানমন্ত্রী মোদি? নোটবন্দি, জিএসটি, প্রতিশোধস্পৃহা, জাতপাত, সাম্প্রদায়িক, একচেটিয়া আধিপত্যের শাসনের মাধ্যমে জীবন অসহনীয় করে তোলার জন্য বিজেপিকে এত সহজে ক্ষমা করা সম্ভব নয় মানুষের পক্ষে।
এলাহাবাদে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে পুণ্যস্নান করে সাফাই কর্মীদেরও পা ধুইয়ে দেন মোদি। পিএম-কিষাণ প্রকল্পে এক কোটির ওপর কৃষকের জন্য মাথাপিছু ২০০০ টাকা আর্থিক সহায়তার প্রথম কিস্তির টাকা ট্রান্সফার করেন।



কিন্তু অন্তর্বর্তী বাজেটে ঘোষিত কৃষক সহায়ক স্কিমে মজুরদের উপকার হলেও চাষিদের লাভ হবে না বলেও দাবি করেন মায়াবতী। ট্যুইট করেন, মোদি সরকারকে আগে কৃষক ও ভূমিহীন মজুরের পার্থক্য বুঝতে হবে। ওনার মাসে ৫০০ টাকার কিষাণ সম্মান নিধি স্কিমে মজুরদের সুরাহা হতে পারে, কিন্তু কৃষকদের ভাল হবে না যারা তাদের ফসলের লাভজনক দাম চায়। বিজেপি সরকার সেটাই সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা ব্যর্থতা। কেন্দ্রের ওই স্কিমে ২ হেক্টর পর্যন্ত জমির মালিক বা দখলে থাকা ছোট, মাঝারি চাষিরা বছরে তিনবার ২০০০ টাকা করে ৬ হাজার টাকা পাবেন। সরাসরি ওই টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়বে।



মোদির ৭৫ হাজার কোটি টাকা হস্তান্তর স্কিম সূচনার কিছুক্ষণ বাদেই মায়াবতী তাকে চাষিদের প্রতি অপমান, ঔদ্ধত্য, পীড়নমূলক বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, বছরে ৬০০০ টাকা মানে মাসে ৫০০ টাকা, দিনে ১৭ টাকা। এটা যত্সামান্য। বিজেপি কৃষকদের শুধু মৌখিক আশ্বাসই দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মায়াবতী।