নয়াদিল্লি: আজও উত্তাল সংসদ। তুমুল হৈ-হট্টগোলের জেরে বেলা ১২টা পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। নোটকাণ্ডে বিরোধীদের কটাক্ষ করায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে রাজ্যসভায় সরব বিরোধীরা। রাজ্যসভাতেও ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। এরপর বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশনও মুলতুবি হয়ে যায়। বিরোধীরা বিতর্কের সময়  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতি দাবি করে।


গতকাল বিতর্কে অংশগ্রহণ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। নোট বাতিল প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন,এটা ‘পর্বতপ্রমাণ অব্যবস্থা’। এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর সংগঠিত লুঠ চালানো হয়েছে, আইনকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের যা ছিল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সরাসরি মোদীকে উদ্দেশ করে তিনি বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি জানতে চাই, এমন একটি দেশের নাম বলতে পারেন, যেখানে মানুষকে ব্যাঙ্কে জমানো নিজের টাকা তুলতে দেওয়া হয় না?’’ টাকা তোলা নিয়ে প্রতিদিন যে ভাবে নিয়ম বদলানো হচ্ছে, সেটি প্রধানমন্ত্রীর দফতর, অর্থ মন্ত্রক ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মর্যাদাকে খাটো করে বলে অভিযোগ করেছেন মনমোহন।

গতকাল রাজ্যসভায় মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত উপস্থিত থাকলেও মোদী কোনও বক্তব্য রাখেননি। এদিন সংসদের এক অনুষ্ঠানে নোট বাতিল নিয়ে বিরোধীদের বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, যাঁরা টাকা বাতিলের সমালোচনা করছেন তাঁদের সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তাঁদের সমস্যা হল যে, তাঁরা প্রস্তুত হওয়ার সময় পাননি।

নোট বাতিল: বিরোধীরা সমালোচনা করছেন, কারণ তাঁরা প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাননি, খোঁচা মোদীর

রাজ্যসভায় মোদীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন  বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ বলেছেন, বিরোধীরা কালো টাকার পক্ষে সওয়াল করছেন। এটা গুরুতর অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে।

একইসুরে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও দাবি করেন, সভায় এসে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে।

এর আগে রণকৌশল স্থির করতে আজ ফের বৈঠকে বসেন বিরোধীরা।