নয়াদিল্লি: ইচ্ছাকৃত ঋণ-খেলাপীদের জন্য ভুগতে হচ্ছে সৎ-করদাতাদের। এমনটাই মনে করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
নন-পারফর্মিং অ্যাসেট (এনপিএ) বা ঋণখেলাপের জেরে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাঙ্কিং সেক্টর। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করেননি করেছেন এমন ব্যক্তি ও সংস্থার সংখ্যা ৯,০৬৩।
এদিন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে রাষ্ট্রপতি জানান, সত্যি সত্যি ব্যবসায় মার অনেকেই খেতে পারেন। ক্ষতি হতেই পারে। তবে, এর পাশেও, ইচ্ছাকৃত ও অপরাধমূলক প্রবণতা হিসেবে কিছু ব্যক্তি ঋণখেলাপ করেন। এর ফলে, সাধারণ ভারতীয়রা ভুগতে হয়। নিরাপরাধ নাগরিকরা সমস্যায় পড়েন এবং সর্বোপরি ভুগতে হয় সৎ-করদাতাদের।
গতমাসে, সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, গত আট বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির এনপিএ-র পরিমাণ ৭.৭৭ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এনপিএ-র পাশাপাশি, ব্যাঙ্কিং সেক্টরে আঘাত হেনেছে বিভিন্ন কেলেঙ্কারি। সর্বশেষ উদাহরণ হল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক প্রতারণা। সেখানে, নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।