হানিপ্রীতকে আরও এক মহিলার সঙ্গে পঞ্জাবের জিরাখপুর-পাতিয়ালা রোডে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান হরিয়ানা পুলিশের ডিজিপি বি এস সান্ধু। আগামীকাল তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, সম্ভবত আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন হানিপ্রীত। ১ মাসের বেশি সময় ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন, ধর্ষণকাণ্ডে রাম রহিমকে আদালত ২০ বছর জেলে কাটানোর সাজা দেওয়ার পরদিন থেকেই।
রাম রহিমের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায় ঘোষণার পর হরিয়ানায় ব্যাপক অশান্তি, হিংসার পিছনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে যে ৪৩ জনকে ওয়ান্টেড হিসাবে খুঁজছিল পুলিশ, তাদের তালিকার একেবারে ওপরে ছিল হানিপ্রীতের নাম। বহু মানুষ সেদিন হিংসায় হতাহত হন।
চাওলা বলেন, সিট ইনচার্জ মুকেশ কুমার হানিপ্রীতকে হেপাজতে নিয়েছেন। তাঁকে হিংসার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচকুল্লায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ২৫ আগস্ট রাম রহিম ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর অশান্তি বাঁধানোর পিছনে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের হাত এড়িয়ে পালিয়ে বেড়ানোর সময় কারা হানিপ্রীতকে আশ্রয়, মদত দিয়েছিল, তাও জানার চেষ্টা হবে। কাল আদালতে তুলে হানিপ্রীতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।
গত সপ্তাহে তাঁর ট্রানজিট অ্যান্টিসিপেটরি জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
হানিপ্রীতের সঙ্গে ধরা পড়া মহিলাকেও হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারির ব্যাপারে পঞ্জাব পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
শোনা যাচ্ছিল, হানিপ্রীত ওরফে প্রিয়ঙ্কা তানেজা নেপাল পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছেন তিনি। উল্টে দাবি করেছেন, এ দেশেই রয়েছেন।
পাপা কি পরী নামে পরিচিত হানিপ্রীতের আরও দাবি, তিনি নির্দোষ। সত্যিটা একসময় প্রকাশিত হবেই। কী করে সকলে তাঁদের সঙ্গে এমন করতে পারল ভেবে যন্ত্রণায় ভেঙে পড়েছেন বলে হানিপ্রীতের দাবি। নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।