পাঁচকুলা (হরিয়ানা): গুরমীত রাম রহিমের ছায়াসঙ্গিনী হনিপ্রীত ইনসান ওরফে প্রিয়ঙ্কা তানেজাকে মঙ্গলবার আরও তিনদিন পুলিশ হেফাজতে পাঠাল পাঁচকুলার একটি আদালত। একইসঙ্গে আরও তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল হনিপ্রীতের সহযোগী সুখদীপ কৌর।


এদিন, শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি জানান, হনিপ্রীতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য তাঁকে হেফাজতে নেওয়া দরকার। এরপরই হনিপ্রীতের হেফাজতের মেয়াদ আরও তিনদিন বাড়িয়ে দেন বিচারক। এর আগে গত ৪ অক্টোবর হনিপ্রীতকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।


ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধানের জেলযাত্রার পরই গায়েব হয়ে যান হনিপ্রীত। তাঁর খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং একইসঙ্গে নেপাল-সীমান্তেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু, খোঁজ মেলেনি তাঁর। তাঁর নাম ৪৩ জন ওয়ান্টেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জারি করা হয় লুকআউট নোটিস। পরবর্তীকালে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয় তাঁর নামে। অবশেষে ৩৮ দিন পর, গত ৩ অক্টোবর পঞ্জাবের জিকাপুর-পাতিয়ালা রোড থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।



গত ২৫ আগাস্ট, জোড়া ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাঁচকুলা, সিরসা সহ হরিয়ানা ও দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ৪১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন পাঁচ শতাধিক মানুষ। অভিযোগ, হনিপ্রীত কয়েকজন ডেরা সাচা সৌদা নেতানেত্রীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই হিংসার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেন। পুলিশ দাবি করেছে, হনিপ্রীত জেরার মুখে জানিয়েছেন, হিংসা ছড়াতে ডেরা সমর্থকদের ১.২৫ কোটি টাকা দেন তিনি।


এই টাকার মধ্যে এক কোটি ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে, ২৪ লাখ উদ্ধার হয়েছে এক অভিযুক্তের কাছ থেকে। পুলিশের সন্দেহ, হিংসা ছড়াতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেন হনিপ্রীত। রাম রহিম দোষী সাব্যস্ত হলে ওই গ্রুপেই মেসেজ পাঠিয়ে অশান্তি শুরুর গ্রিন সিগন্যাল দেন তিনি। এখন পুলিশ তাঁর মোবাইল ঘেঁটে তথ্য বার করছে। তারা নিশ্চিত, অশান্তির যাবতীয় ছক সিরসায় ডেরা সাচা সৌদা সদর দফতরেই কষা হয়েছিল।