পটনা: বিহারে মদ নিষিদ্ধ হলেও, লুকিয়ে-চুরিয়ে মদ বিক্রি যে বন্ধ হয়নি, সেটা বুঝিয়ে দিল রোহতাস জেলার দানওয়ার গ্রামের ঘটনা। গতকাল রাতে এখানে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হল অন্তত পাঁচজনের। বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষমদ বিক্রির অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কছওয়া থানার আটজন পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

শাহাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি মহম্মদ রেহমান বলেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বিষমদ খাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে। দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁরা বিষমদের কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব। বিরোধী দল আরজেডিও এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আরজেডি মুখপাত্র শক্তি যাদবের অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে অবৈধ মদ ব্যবসায়ীদের যোগ আছে। তারা প্রতি মাসে হাজার হাজার কোটি টাকা পকেটস্থ করছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে দেখে মনে হচ্ছে, তিনি এই চক্রের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

নীতীশকে আক্রমণ করে লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব বলেছেন, ‘রোহতাসে যেটা হয়েছে, সেটা গত বছরের এপ্রিলে বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রথম ঘটনা নয়। আমরা সেই সময় জোটসঙ্গী হিসেবে নীতীশ কুমারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা শুধু খাতায়-কলমে। নীতীশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা ছিল বলেই বিহারের বাইরে নিজের প্রচারের জন্য মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন। তিনি উত্তর প্রদেশে, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগঢ়, মধ্যপ্রদেশে সভা করেছিলেন। কিন্তু এখন বিজেপি-র জোটসঙ্গী হিসেবে ওই রাজ্যগুলিতে কি তিনি সভা করতে পারবেন?’

বিহারে জেডিইউ-এর বর্তমান জোটসঙ্গী বিজেপি-কেও আক্রমণ করেছেন তেজস্বী। তাঁর দাবি, পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করে মানুষের চোখে ধুলো দিতে চাইছে সরকার। রাজ্যের মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত ও অপদার্থ সরকারকে উপযুক্ত সময়ে শিক্ষা দেবে।