নয়াদিল্লি: গত রবিবার দিল্লি-পটনা রাজধানী এক্সপ্রেসে লুঠপাটের কথা ভোলেননি নিশ্চয়। এবার শুনুন, কী অদ্ভুত কায়দায় চলন্ত ট্রেনে উঠেছিল ওই দুষ্কৃতীরা।


উত্তরপ্রদেশের মুঘলসরাই ডিভিশনে গাহমার আর ভাদাউরা স্টেশনের মধ্যে চলে ওই লুঠপাট। বিহারের বক্সার ও মুঘলসরাই জিআরপি যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে ৪ অভিযুক্তকে। এদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে ২টি লুঠ হওয়া সেল ফোন, মানিব্যাগ, এটিএম কার্ড ও গয়নাগাটি।

অভিযুক্তদের নাম ফতেহ খান, রাজা, ওমমপ্রকাশ শর্মা ও চন্দন কুমার। সকলের বয়স ১৯, ২০-র মধ্যে। গ্যাংলিডার হল রাজা। এরা বক্সারের বাসিন্দা। পটনা-মুঘলসরাই সেকশনের অন্যান্য ট্রেন লুঠেরও ছক কষেছিল এরা।

এরা ট্রেন লুঠত ১ টাকার একটি কয়েনের সাহায্যে। লাইনের যোগস্থলের রাবার ইনসুলেশন খুলে শর্টসার্কিট করে দিত। তারপর ভেতরে ওই কয়েন ঢুকিয়ে গন্ডগোল করে ফেলত সিগন্যালিং ব্যবস্থায়। এতে পোস্ট লাল সিগন্যাল দেখাত, ট্রেন থামাতে বাধ্য হতেন চালক। এই সুযোগে ট্রেনে উঠে পড়ত এরা। ভেস্টিবিউলের পাশে ছোট যে জায়গা থাকে, সেখান দিয়ে একজন কামরায় ঢুকে যেত। তারপর উঠে আসত অন্যরা।

এরা রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে লুঠ করা গয়নাগাটির বেশিরভাগটাই তুলে দোয় বক্সারের এক স্যাকরার হাতে, ২০,০০০ টাকার বিনিময়ে। সে আবার সেগুলি অন্য একজনকে দেয় গলিয়ে দেওয়ার জন্য। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের কাছ থেকে একটি বহুমূল্য পাথর বসানো গয়না উদ্ধার করা গিয়েছে, সেটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।