কিন্তু এরমধ্যেই দু হাজারের জাল নোটে এসে গেছে বাজার। অথচ বেশিরভাগ লোকই প্রথমবারের জন্যে নতুন এই দুহাজার ও পাঁচশোর নোট দেখছেন। তাঁদের পক্ষে আসল ও জাল নোটের মধ্যে ফারাক করা সম্ভবও নয়।
বাজারে দুজাহারের নোট আসার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গত শনিবার হায়দরাবাদ থেকে দু হাজারের জাল নোট ছাপানোর একটি চক্র থেকে ছ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দু লক্ষ টাকার দুহাজারের জাল নোট উদ্ধার করে প্রশাসন।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমজনতার জন্যে আরবিআইয়ের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে দুহাজার ও পাঁচশোর নোটের বিশেষ কিছু বিশেষত্ব বলে দেওয়া হয়েছে, যা দেখে একজন সাধারণ মানুষ বাতিল ও আসল নোটের মধ্যে অনায়সেই ফারাক করতে পারবে।
আসল দুহাজারের নোটের সামনের দিকে
• সি-থ্রু রেজিস্টার রয়েছে, তারওপর দুহাজার সংখ্যায় লেখা
• নোটের সামনে দিকে ল্যাটেন্ট ইমেজে সংখ্যায় দুহাজার লেখা
• দেবাঙ্গগিরি হরফে দুহাজার লেখা
• মহাত্মা গাঁধীর ছবিটি নোটের মাঝখানে রয়েছে
• নোটের বাঁদিকে মাইক্রো লেটারে আরবিআই ও দুহাজার লেখা
• নোটের মধ্যে একটি সিকিউরিটি থ্রেড রয়েছে, যেখানে হিন্দিতে ভারত লেখা আছে। আরবিআই এবং দু হাজার দুটো রঙের ওপর লেখা আছে। নোটটা হেলালে সিকিউরিটি থ্রেডের রঙ সবুজ থেকে নীল রঙ হয়ে যায়
• নোটের ডানদিকে রয়েছে গ্যারান্টি ক্লজ, রাজ্যপালের সই, সঙ্গে প্রমিস ক্লজ এবং আরবিআইয়ের প্রতীক
• নোটের নীচের ডানদিকে যেখানে রঙ বদল হওয়া সিকিউরিটি থ্রেড রয়েছে সেখানে টাকা প্রতীক চিহ্ন দিয়ে এভাবে ₹২০০০ লেখা
• নোটের ডানদিকে একটি অশোক স্তম্ভের প্রতীক চিহ্ন রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে মহাত্মা গাঁধীর ছবি এবং দুহাজারের ওয়াটারমার্ক।
• একটি সংখ্যার প্যানেল রয়েছে যেখানে সংখ্যাগুলো ছোট থেকে বড় হয়েছে। এই জিনিষটা নোটের ওপর দিকের বাঁ দিকের অংশে রয়েছে, অপরটা ডান দিকের নীচের অংশে।
• যাঁরা চোখে দেখতে পান না, সেইসব ব্যক্তিদের জন্যে মহাত্মা গাঁধীর ছবি, অশোক স্তম্ভ, ব্লিড লাইনস এবং আইডেন্টিটি মার্ক রয়েছে ইনট্যাগলিওতে।
• নোটের ডানদিকে রেইজড প্রিন্টিংয়ে দু হাজার ছাপা আছে
• সাতটি অ্যাঙ্গুলার ব্লিড লাইন আছে নোটের বাঁদিকে ও ডানদিকে রেইজড প্রিন্টিংয়ে।
দু হাজারের নোটের পিছন দিকে বিশেষত্ব জেনে নিন
• কোন বছরে নোটটি ছাপা হয়েছে, সেটা নোটের বাঁদিকে রয়েছে
• স্বচ্ছ ভারতের প্রতীক চিহ্ন সহ স্লোগান আছে নোটের পিছন দিকে
• মঙ্গলায়নের মোটিফ আছে
• দেবাঙ্গিরি হরফে লেখা দুহাজার
• দুহাজারের আসল নোটের পরিধি ৬৬ এমএম × ১৬৬ এমএম
৫০০ নোটের বিশেষত্বগুলো দেখে নেব একনজরে
প্রথমে নোটের সামনের দিকের বিশেষত্ব দেখব
• সি-থ্রু রেজিস্টার রয়েছে, তারওপর ৫০০ সংখ্যায় লেখা
• নোটের সামনে দিকে ল্যাটেন্ট ইমেজে সংখ্যায় পাঁচশো লেখা
• দেবাঙ্গিরি হরফে পাঁচশো নেখা
• মহাত্মা গাঁধীর ছবির ওরিয়েন্টেশন বদলে যাবে
• নোটের ওপর আছে সিকিউরিটি থ্রেড, যেটা সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তিত হয়, যখন হেলানো হয়।
• গ্যারান্টি ক্লজ, আরবিআইয়ের প্রতীক, রাজ্যপালের সই রয়েছে নোটের ডানদিকে
• পোট্রেট এবং ইলেক্ট্রটাইপ ওয়াটারমার্ক রয়েছে
• নম্বর প্যানেল, যেখানে সংখ্যাগুলো ছোট থেকে বড় হয়েছে। এগুলো রয়েছে নোটের ওপরের বাঁদিকে এবং নোটের ডানদিকে নীচের দিকে
• টাকার প্রতীক চিহ্ন রয়েছে কালার চেঞ্জিং কালিতে, নোটের ডানদিকের নীচের দিকে
• অশোক স্তম্ভের ছবি রয়েছে নোটের ডানদিকে
যাঁরা চোখে দেখতে পান না তাঁদের জন্যে
• নোটের ডানদিকে রেইজড প্রিন্টে ৫০০ টাকাটা সার্কেল করা আছে
• পাঁচটা ব্লিড লাইন নোটের বাঁদিক ও ডান দিকে রেইজড প্রিন্টে আছে
নোটের পিছন দিকে রয়েছে
• কোন বছর নোটটি ছাপা হয়েছে, রয়েছে নোটের বাঁদিকে
• স্বচ্ছ ভারতের প্রতীক চিহ্ন, সঙ্গে স্লোগান
• ল্যাঙ্গোয়েজ প্যানেল রয়েছে নোটের মাঝখানে
• লাল কেল্লা সঙ্গে ভারতের পতাকার ছবি রয়েছে
• নোটের ডানদিকে দেবাঙ্গিরি হরফে সংখ্যায় পাঁচশো লেখা
• পাঁচশোর নোটের পরিধি ৬৩ এমএম x ১৫০ এমএম, নোটের রঙ ছাই ছাই